মঙ্গলবার থেকে অমীমাংসিত দাবির সমর্থনে কর্ণাটকে তিন দিনের বিক্ষোভ শুরু করেছেন আশা কর্মীরা (ASHA workers)। তাদের মূল দাবি—প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা স্থির সম্মানী—যা ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। তবে প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়িত না হওয়ায় কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন AIUTUC-এর জেলা সভাপতি জি.এস. যশোধর সীমা, আশা সমিতির সভাপতি ভাগ্যম্মা ও অন্যান্য নেতারা।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার (AIUTUC)-এর তত্ত্বাবধানে রাজ্যজুড়ে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কালাচন্নে গৌড়া আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আশা কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমেছে, কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো তাদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ১০,০০০ টাকার স্থির সম্মানী ও অন্যান্য দাবি অবিলম্বে মঞ্জুর করতে।
AIUTUC-এর জেলা সম্পাদক চন্দ্রশেখর মেতি অভিযোগ করেন, জানুয়ারিতে আন্দোলনের পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট সম্মানী ঘোষণার পরও তা কার্যকর হয়নি। এমনকি বাজেটে ঘোষিত অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা রাজ্যের ৪২,০০০ আশা কর্মীর মধ্যে মাত্র ১২,০০০ জন পেয়েছেন। এই অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে তিনি জানান।