Moon: চিনা বিজ্ঞানীদের তৈরি এই ডিভাইসটি থ্রিডি প্রিন্টারের মতো কাজ করে কিন্তু তাপ উৎপন্ন করতে বিদ্যুতের পরিবর্তে সূর্যালোক ব্যবহার করে। এই যন্ত্রটি সূর্যালোককে এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত করার জন্য একটি বৃহৎ প্যারাবোলয়েড প্রতিফলক ব্যবহার করে। এই আলোর শক্তি পৃথিবীতে প্রাপ্ত সূর্যালোকের চেয়ে ৩০০০ গুণ বেশি, যার তাপমাত্রা ১৩০০ ডিগ্রিরও বেশি। এই তীব্র তাপের কারণে চাঁদের মাটি গলে শক্ত হয়ে যায়।
এটি তৈরি করতে কত সময় লেগেছে?
এই যন্ত্রটি তৈরি করতে চিনা বিজ্ঞানীদের ২ বছর সময় লেগেছে, এই সময় তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চাঁদের মাটির গঠন, যা পরিবর্তিত হয়। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরণের কৃত্রিম মাটি তৈরি করেছিলেন যাতে ডিভাইসটি সব ধরণের মাটিতে কাজ করতে পারে।
এর বিশেষত্ব কী?
এই ডিভাইসটির সবচেয়ে বিশেষত্ব হল এটি কোনও বহিরাগত উপাদান ব্যবহার করে না। এটি সম্পূর্ণরূপে চাঁদে উপস্থিত প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে। এর ফলে মাটি থেকে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের ব্যয়বহুল, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং কাজটি দূর হবে।
এটি কীভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল?
এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য, ২০২৪ সালের নভেম্বরে চিনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে কিছু নকল চাঁদের ইট পাঠানো হয়েছিল। এই ইটগুলি তিয়ানঝো ৮ কার্গো মহাকাশযান দ্বারা পাঠানো হয়েছিল। আগামী ৩ বছর ধরে, মহাকাশচারীরা এই ইটগুলিকে কঠিন পরিস্থিতিতে রাখবেন। সেখানে তারা দেখবেন তাপ, গঠন এবং বিকিরণের দিক থেকে এই ইটগুলি কতটা শক্তিশালী। এটি ভবিষ্যতে চাঁদে ভবন নির্মাণে সহায়তা করবে।