প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে (Kolkata Premier Division) বর্তমানে খুব একটা ছন্দে নেই কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। অন্যান্য বছর গুলিতে কলকাতা ময়দানের দুই প্রধানের সর্বাত্মক দাপট থাকলেও এবার পয়েন্টের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে লাল-হলুদ এবং সবুজ-মেরুন। তবে শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের। মেসার্স ক্লাবকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ শুরু করলেও পরবর্তী ম্যাচ গুলিতে যথেষ্ট হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল বিনো জর্জের ছেলেদের। একাধিক পয়েন্ট নষ্টের পাশাপাশি পরাজিত হতে হয়েছিল বেশ কয়েকটি ম্যাচ।
মামনী পাঠচক্রের কাছে পরাজিত হয়েই পরবর্তীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ডার্বি খেলতে নেমেছিল মশাল ব্রিগেড। হারের ধাক্কা কাটিয়ে সেই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট ঘরে তোলাই এখন অন্যতম লক্ষ্য ছিল মশাল ব্রিগেডের। সেই অনুযায়ী জুনিয়র ফুটবলারদের পাশাপাশি সিনিয়র ফুটবল দল থেকে প্রায় একাধিক ফুটবলাদের তালিকা ভুক্ত করেছিল লাল-হলুদ শিবির। যাদের মধ্যে ছিলেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা থেকে শুরু করে এডমুন্ড লালরিন্ডিকা, লালরামসাঙ্গা ত্লাইচুন ও মার্ক জোথানপুইয়ার মতো ফুটবলার। সুহেল আহমেদ ভাট ও কিয়ান নাসিরিদের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে এক গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। গত ম্যাচেই পুলিশ দলের কাছে আটকে গিয়েছে বিনো জর্জের ছেলেরা। অন্যদিকে, পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের কাছে পরাজিত হয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ডেগি কার্ডোজোর ছেলেরা। যদিও পরবর্তীতে জয় পেতে শুরু করেছিল সবুজ-মেরুন। ডার্বি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলের কাছে পরাজিত হতে হলেও পরের ম্যাচ গুলিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ মেরিনার্সদের কাছে। তবে এসবের মাঝেই উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য।
বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে নিজেদের দলের রিজার্ভ বেঞ্চকে শক্তিশালী করতে এবার সিএফএলের তরুণ ফুটবলার আমিল নাইমকে (Amil Naim) নিতে আগ্ৰহী দুই দল।ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও বিশেষ কিছু সামনে আসেনি। তবে শোনা যাচ্ছে পুলিশ দলের এই ফুটবলারের দিকে নজর রাখছে ময়দানের দুই ক্লাব।