মিগুয়েলের হ্যাটট্রিকের সুযোগ হাতছাড়ায় প্রথমার্ধ গোলশূন্য ইস্টবেঙ্গল-নামধারী ম্যাচ

চলতি ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal ) শিবির। সেই ভরসা নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে…

East Bengal FC Faces Namdhari FC in Durand Cup 202

চলতি ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal ) শিবির। সেই ভরসা নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছে অস্কার ব্রুজোর ছাত্ররা। প্রতিপক্ষ আইলিগ খেলা নামধারী এফসি। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়ামে আয়োজিত করা হয়েছে এই ম্যাচ। গ্ৰুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ কলকাতা ময়দান প্রধানের কাছে কার্যত এক প্রকার ‘ফাইনাল’। কারণ গ্রুপের সমীকরণে এই ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই নারাজ কোচ অস্কার ব্রুজো। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধ রইল গোলশূণ্য। প্রথম ৪৫ মিনিটেই মিগুয়েলের হ্যাটট্রিকের বাধা হয়ে দাঁড়াল নামধারী তেকাঠি থেকে তেকাঠি রক্ষক নীরজ কুমার।

এদিন লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিগুয়েল ফিগুয়েরার। শুরু থেকেই নিজের জাত চেনাতে শুরু করেন তিনি। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই তার নেওয়া দূরপাল্লার শট বক্সের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর যদিও পাল্টা টেক্কা দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণে এগোতে শুরু করে নামধারী। কিন্তু প্রতিবারই আনোয়ার-রশিদ-রাকিপের ডিফেন্স ওয়ালের কাছে আটকে যায়। শুরুটা বেশ ধীরগতিতে করলেও, ক্রমশ ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে ধরতে শুরু করে মশাল ব্রিগেড।

   

১০ মিনিটে বিপিনের বাড়ানো ক্রস থেকেই গোলের খাতা খোলার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু দিয়ামান্তাকসের হেড দেওয়ার আগেই বল ধরেন নামধারী গোলকিপার। ১৪ মিনিটে ফের সুযোগ এসেছিল অস্কারের ছাত্রদের সামনে। লালচুংনুঙ্গা ক্রস নিলেও সোজা পৌঁছায় নামধারী গোলকিপার নীরজ কুমারের হাতে।

Advertisements

১৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের চোখে ধুলে দিয়ে মিগুয়েল থেকে সাউল হয়ে বল পৌঁছায় বিপিনের কাছে। সেখান থেকে বিপিনের নেওয়া শট গোললাইন সেভ করে দলকে পিছিয়ে পরা থেকে বাঁচান নামধারীর ডিফেন্ডার মোরো। এরপরের মিনিটেই মাঝমাঠ থেকে রশিদের নেওয়া শট প্রতিহত করেন নীরজ। যদিও একাধিকবার আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ালেও গোলের দরজা খুলতে ব্যার্থ হন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

এবার ২১ মিনিটে মাঝমাঠ নেওয়া মিগুয়েলের শট ডান পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই মুহূর্তে গ্যালারি থেকে লাল-হলুদ সমর্থকদের গলায় একটাই স্বর ‘মিগুয়েল, মিগুয়েল’। এরপরের মিনিটেই ফের একবার তার নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৪০ মিনিটে মিগুয়েলকে বক্সের মধ্যে জার্সি ধরে টেনে ধরেন নামধারী নিমরাতপাল সিং। মাটিতে পরে যাওয়ায় সাম্বা দেশের ফুটবলার পেনাল্টির দাবি করতে থাকেন। কিন্তু রেফারি নির্দেশ দেন কর্নারের। সাউল ক্রেসপোর কর্নার থেকে নেওয়া শট সেই মিগুয়েলই বলে হেড লাগান। কিন্তু বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। বলা ভালো নামধারীর ফুটবলাররা নয় গোলপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গলের। দ্বিতীয়ার্ধে এবার কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটাই আপাতত দেখার।