চলতি ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) ব্যাক টু ব্যাক দুই ম্যাচে জয় পেয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-০ ব্যবধানে পরাস্ত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে (BSF)। এবার তাদের লক্ষ্য গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে (Diamond Harbour FC) হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করা। যদিও এরই মধ্যে আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছেন দলের ফুটবলার অপুইয়া (Apuia)।
আগামী ৯ই আগস্ট, শুক্রবার যুব ভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি। তবে ম্যাচের আগে চোট নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার লালেংমাওয়াইয়া রালতে, ওরফে আপুইয়া। মঙ্গলবার অনুশীলনের সময় চোট পান বাঁ পায়ে। গ্ল্যান মার্টিন্সের সঙ্গে এক সংঘর্ষে তিনি হালকা আঘাত পান এবং পরে লিম্প করতে করতে মাঠ ছাড়েন সাপোর্ট স্টাফদের সহায়তায়।
বাগানের মেডিকেল টিম অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে যে আপুইয়া বড় কোনো চোট পাননি। তার হাঁটুতে হালকা আঘাত থাকলেও, নির্ধারিত সময়ে তাকে মাঠে দেখা যেতে পারে সীমিত সময়ের জন্য বলেই জানা গিয়েছে। তবে ফাইনাল ফিটনেস টেস্ট হবে ম্যাচের আগের দিন। আপুইয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাগান শিবির ঝুঁকি নিতে চাইছে না, বিশেষ করে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু’র মতো বড় টুর্নামেন্ট সামনে রেখে।
গত মরসুমে মুম্বই সিটি থেকে আসার পর আপুইয়া হয়ে উঠেছেন মোহনবাগানের মধ্যমাঠের মেরুদণ্ড। তিনি ২৮ ম্যাচ খেলে দলের ‘প্লেয়ার অফ দ্য সিজন’ নির্বাচিত হয়েছেন এবং জামশেদপুরের বিপক্ষে আইএসএল কাপ সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে করা তার গোল আজও সমর্থকদের মনে গেঁথে রয়েছে।
তবে শুধু আপুইয়াই নয়, দলের তরুণ স্ট্রাইকার সুহেল ভাটের চোটও উদ্বেগের কারণ। বিএসএফের বিপক্ষে একটি গোল করলেও সেই ম্যাচেই একটি ধাক্কা খেয়ে তিনি মঙ্গলবার অনুশীলনে অংশ নিতে পারেননি। ২০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ভারতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের নিয়মিত সদস্য এবং তার ফিটনেসের ওপর ম্যাচের রণনীতিও নির্ভর করছে।
এই মুহূর্তে মোহনবাগান দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার, কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে, বিএসএফ-কে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে। ফলে এই ম্যাচ কার্যত হয়ে উঠেছে গ্রুপ সেরা নির্ধারণের লড়াই। ড্র হলেও মোহনবাগানের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে, তবে গোল ব্যবধানের ব্যবধান কমানোর জন্য জয়ই একমাত্র লক্ষ্য রাখছেন হোসে মোলিনা।
প্রসঙ্গত, মোহনবাগান ১৭ বার ডুরান্ড কাপ জিতে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল। শেষবার ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সবুজ-মেরুন। এবারও সেই ইতিহাস পুনরাবৃত্তির আশায় মাঠে নামবে তারা, তবে প্রতিপক্ষ কিবুর ট্যাকটিক্সকে চেনা হলেও সহজ প্রতিপক্ষ নয় তা ভালো করেই জানেন মোলিনা।
Mohun Bagan SG Footballer Apuia injury update ahead of Diamond Harbour FC in Durand Cup