Indore: মুসলিম ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে বাড়ি ভাড়া পেতে অসুবিধা হয় অনেকের। এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অমুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। কিন্তু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতিকূলতার মুখোমুখি মুসলিম যুবক। আরও বড় বিষয় হচ্ছে বাড়ির মালিকও ইসলাম ধর্মের অনুসারী।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের। ওই শহরের পীর গলির একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ইউসুফ। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নিজের ঘরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি টাঙাতেই গোলমাল শুরু হয়। এই কারণে বাড়িওয়ালা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। চাপ বাড়তে থাকায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ইউসুফ।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে শহরের পুলিশ কমিশনারের অফিসে ‘জনতা ফোরামে’ শুনানিতে গিয়ে অভিনব অভিযোগ জানিয়ে আসেন ইউসুফ। তাঁর অভিযোগ, মোদীর ছবি সরিয়ে ফেলতে বলে বাড়িওয়ালারা। এই বিষয়ে তাঁর উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করা হয়। তাতেও সে ছবি না সরানোয় এবার তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই বাধ্য হয়ে কমিশনারের অফিসের ‘জনতা ফোরামে অভিযোগ জানান তিনি।
এই বিষয়ে ইন্দোরের অতিরিক্ত ডিসিপি মনিষা পাঠক জানিয়েছেন, ইউসুফের ঘটনা জানার পর সদর বাজার টিআই-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “জনতা ফোরামে শুনানির সময়ে ইউসুফ জানায়, বাড়িওয়ালা তাঁকে ঘরে মোদীর ছবিতে টাঙাতে বাধা দিচ্ছে। যদিও সে একজন মোদী ভক্ত। এটা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ।”
দিন কয়েক আগে এই মোদী বল্দনার কারণের প্রাণ হারাতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের এক মুসলিম যুবককে। বাবর নামের ওই ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য উদযাপন করেছিলেন। এলাকায় লাড্ডু বিতরনের সময়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন। অভিযোগ, সেই কারণে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে পড়শিরা।
২০০২ সালের গোধরা কাণ্ডের পোর থেকে মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ছন্দ যেন কাটতে চলেছে। এই ঘটনাগুলি তার প্রমাণ।