এলজি মানহানি মামলা, দিল্লি হাইকোর্টে মেধা পাটকরের সাজা বহাল

দিল্লি হাইকোর্ট সামাজিক কর্মী মেধা পাটকরের (Medha Patkar) বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া সাজা বহাল রেখেছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রায়াল কোর্টের আদেশে কোনও…

high-court

দিল্লি হাইকোর্ট সামাজিক কর্মী মেধা পাটকরের (Medha Patkar) বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া সাজা বহাল রেখেছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রায়াল কোর্টের আদেশে কোনও আইনি ত্রুটি নেই, ফলে এতে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।

মঙ্গলবার বিচারপতি শালিন্দর কৌর রায় দেন যে, পাটকর যে ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তা খারিজ করা হলো।

   

২০০১ সালে বর্তমান দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা গুজরাটে একটি এনজিও পরিচালনার সময় মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। এর সূত্রপাত ২০০০ সালে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে।

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সিভিল লিবার্টিজের তৎকালীন সভাপতি সাক্সেনা নর্মদা নদীর উপর বাঁধ নির্মাণবিরোধী আন্দোলন নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন (এনবিএ)-এর বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল— ‘শ্রী মেধা পাটকর এবং তার নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের আসল মুখ’।

এর জবাবে পাটকর একটি প্রেস নোট প্রকাশ করেন, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে সাক্সেনা অতীতে এনবিএকে সমর্থন করেছিলেন, মালেগাঁও সফরে আন্দোলনের প্রশংসা করেছিলেন এবং লালভাই গ্রুপের মাধ্যমে এনবিএকে সমর্থন দিতে ৪০ হাজার টাকার চেক দিয়েছিলেন—যা পরে বাউন্স হয়ে যায়। ওই নোটে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সাক্সেনা ও লালভাই গ্রুপের সম্পর্ক কী এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক কে।

Advertisements

প্রেস নোট প্রকাশের পর সাক্সেনা ২০০১ সালে আহমেদাবাদের আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।

ট্রায়াল কোর্টে মেধা পাটকরকে মানহানির জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করার কারণে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয় এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও দিল্লি হাইকোর্ট থেকে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।

পরবর্তীতে আপিল আদালত তাকে এক বছরের প্রবেশনে ভালো আচরণে থাকার নির্দেশ দেয় এবং সাক্সেনাকে ১ লক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেয়। এই আদেশকেই পাটকর হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তবে তা আজ খারিজ হয়েছে।