আচমকা আগুনের কবলে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব

মঙ্গলবার হঠাৎই আগুন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে আগুন লাগে লাল-হলুদের তাঁবুতে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্লাব প্রাঙ্গনে।ওই সময়ে ক্লাবে উপস্থিত সদস্যরাই উদ্যোগী…

মঙ্গলবার হঠাৎই আগুন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে আগুন লাগে লাল-হলুদের তাঁবুতে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ক্লাব প্রাঙ্গনে।ওই সময়ে ক্লাবে উপস্থিত সদস্যরাই উদ্যোগী হয়ে আগুন নেভান। ক্লাবে উপস্থিত মাঝারি কর্তাদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন স্থানীরাও। জানা গেছে, বড়ো কোনো ক্ষতি হয়নি ক্লাবের।

short-samachar

   

ক্লাব সূত্রে খবর, ক্লাবের পাশে থাকা ফিডার বক্সে ফ্ল্যাশ হয়েছিল এবং সেখান থেকেই আগুনের আতঙ্ক। দমকলের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বড় কিছু ঘটেনি। দমকল এবং ক্লাব উভয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার জেরে বড়সড় কোনও ক্ষতিও হয়নি ক্লাবের। তবে আচমকা এই আগুন দেখে ক্লাব কর্তারা যে কিছুটা ঘাবড়েই গিয়েছিলেন, সেকথাও অনেকে স্বীকার করেন।

বিগত দুই মরশুমে লাল-হলুদ ব্রিগেড ইন্ডিয়ার সুপার লিগে(ISL) টুর্নামেন্টে একেবারে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তারপর থেকেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল যে এই ক্লাবের বিনিয়োগকারী সংস্থা অর্থাৎ শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ পরের মরশুমে আর টাকা ঢালবে না। ইতিমধ্যেই তারা আইনি স্বত্ত্ব ফেরত দেওয়ারও তোড়জোড় শুরু করেছে। কতদিনে সেই কাগজ লাল-হলুদ কর্তাদের হাতে আসে, এখন সেটাই দেখার। শ্রী সিমেন্টের এক কর্তা বলেন, “আলোচনা হলেই যে চুক্তি হচ্ছে তার কোনও মানে নেই। অনেক ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গেই আমাদের কথা হয়। এটাই তো খুব স্বাভাবিক। কিন্তু চুক্তি কারও সঙ্গে যখন হয়, অনেক পথ পেরিয়ে তবে হয়।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “কোনও ক্লাব আমাদের কাছে এখনও ইনভেস্টর হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি। যদি আসে, ভেবে দেখব। মহমেডানের প্রসঙ্গ এই প্রথম শুনলাম। এই রকম ব্যাপারে আমি যদি-কিন্তুতে বিশ্বাস করি না।একটা কথা সাফ বলতে চাই, ইস্টবেঙ্গল ছাড়া যে কোনও ক্লাবে ইনভেস্ট করতে পারি। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা মোটেও সুখকর নয়।”