শুরু হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন (Suvendu)। রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বোলপুর থেকে এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছে আজ। বিরোধীরা কিন্তু থেমে নেই। এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস ‘বাংলা ভাষা আন্দোলন’ নামে এক নতুন নাটক মঞ্চস্থ করছে ।
শুভেন্দু বলেছেন এই আন্দোলনের আড়ালে বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড এই অভিযোগকে আরও জোরালো করছে। তাদের বিতর্কিত মন্তব্য এবং আচরণে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের সাম্প্রতিক বক্তব্য এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তার বক্তৃতায় ‘জেহাদ’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলনেতা বলছেন, বাংলার অভিধানে ‘জেহাদ’ শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায় না, তাহলে এই শব্দ ব্যবহার করে তিনি কোন ভাষার আন্দোলনের কথা বলছেন—আরবি নাকি বাংলা?
এই ধরনের শব্দচয়ন বাংলা ভাষার প্রতি অশ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক বিচ্যুতির ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, তৃণমূলের আরেক বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের বক্তব্য ভাষা আন্দোলনের নামে ‘ভাষা সন্ত্রাস’ চালানোর অভিযোগ তুলেছে। তার বক্তৃতায় ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং অশোভন ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে।
শুভেন্দু বলেছেন এই ধরনের আচরণ বাংলা ভাষার মর্যাদাকে কলঙ্কিত করছে এবং ভাষা আন্দোলনের মতো একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করছে। এই বিতর্কের মাঝে গোঘাটের তৃণমূল নেতা নারায়ণ পাঁজার বক্তব্য আরও হাস্যকর এবং আপত্তিকর বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বাংলার গর্ব, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যা বাঙালির আত্মাকে আঘাত করেছে।
পাঁজার দাবি, কবিগুরু ২০১১ সালে জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন! এই ধরনের ভিত্তিহীন এবং ইতিহাস-বিকৃত মন্তব্য বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তৃণমূলের অজ্ঞতা এবং অশ্রদ্ধার প্রমাণ বলে মনে করছেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন এই ধরণের লোকেদের নিয়ে আর যাই হোক বাংলা ভাষা নিয়ে আন্দোলন মানায়না।
জাতীয় দলে ব্যর্থতা স্বীকার করে নতুন চ্যালেঞ্জে চোখ স্প্যানিশ কোচের
শুভেন্দু স্পষ্ট বলেছেন “বাংলায় কথা বললেই কেউ বাঙালি হয় না। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাও বাংলায় কথা বলে। আমরা বলি ‘জল’, তারা বলে ‘পানি’। তৃণমূল এদের রক্ষা করতে গিয়ে ২০২৬-এর নির্বাচনে হালে ‘পানি’ পাবে না।” শুভেন্দুর এই মন্তব্য তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।