দু’মাসে উদ্ধার ১৬০ মোবাইল, ফিরল মালিকের হাতে

মিলন পণ্ডা, মারিশদা: দু’মাস আগে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন ফেরত পাবেন ভাবতেও পারেননি অনেকে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের (East Midnapore Police) তৎপরতায় সেই অসম্ভবই সম্ভব…

দু'মাসে উদ্ধার ১৬০ মোবাইল, ফিরল মালিকের হাতে

মিলন পণ্ডা, মারিশদা: দু’মাস আগে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন ফেরত পাবেন ভাবতেও পারেননি অনেকে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের (East Midnapore Police) তৎপরতায় সেই অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে। গত মে ও জুন মাসে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার হারিয়ে যাওয়া মোট ১৬০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ সেগুলি প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিল।

শনিবার মারিশদা থানায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। সেখানে পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, জেলা জুড়ে রামনগর, দিঘা মোহনা, দিঘা, জুনপুট, মারিশদা, খেজুরি, কাঁথি এবং ভূপতিনগর থানায় জমা পড়া মোবাইল হারানোর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। এর পর বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং গোপন সূত্র মারফত তথ্য সংগ্রহ করে, মোট ১৬০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

   

মারিশদা থানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফোনগুলি মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ফোন ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত অনেকেই বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি মোবাইলটা ফেরত পাবো। থানায় অভিযোগ করলেও বিশ্বাস ছিল না যে পুলিশ এত দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আজ ফোন ফিরে পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ। পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।”

এই প্রসঙ্গে কাঁথি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক (SDPO) দিবাকর দাস বলেন, “আমরা মানুষের সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখি। অভিযোগ পেলে পুরোপুরি তদন্ত করা হয় এবং মোবাইলের IMEI নম্বরের মাধ্যমে সেটিকে শনাক্ত করে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করি। ভবিষ্যতেও মানুষের যেকোনো সমস্যায় পুলিশ পাশে থাকবে। থানায় আসুন, অভিযোগ জানান — আমরা পাশে আছি।”

Advertisements

জেলা পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমানে মোবাইল হারানোর অভিযোগ দ্রুত অনলাইনে এবং সরাসরি থানায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাক করা অনেক সহজ হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও এতে যথেষ্ট সচেতন থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এই সফল উদ্যোগ পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরণের পদক্ষেপ রাজ্যের অন্যান্য থানাতেও অনুসরণযোগ্য। পুলিশ যে শুধু অপরাধ দমনেই নয়, সাধারণ মানুষের সমস্যার দ্রুত সমাধানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তা আরও একবার প্রমাণ করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।