সরকারি নিয়োগ বৃদ্ধিতে কেন্দ্রের ভূয়সি প্রশংসা হাইকোর্টে

দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি (Government) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ড (পিএনজিআরবি) এবং অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ফর ইলেকট্রিসিটি (এপিটিইএল)-এর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সময়োপযোগী এবং…

Government praised by high court

দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি (Government) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ড (পিএনজিআরবি) এবং অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ফর ইলেকট্রিসিটি (এপিটিইএল)-এর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সময়োপযোগী এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়ার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ২০২৫ সালের ২৪ জুলাইয়ের শুনানির সময় বিচারপতি সচিন দত্ত সরকারের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিশেষ করে স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল অ্যাডভোকেট আশিস দীক্ষিতের তৎপরতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিনিধিত্বের জন্য তিনি প্রশংসা করেন। এই বিষয়টি উঠে এসেছিল পিএনজিআরবি-তে মেম্বার (লিগ্যাল) এবং এপিটিইএল-এ মেম্বার (টেকনিক্যাল) পদে দীর্ঘদিন ধরে শূন্যতার কারণে হাইকোর্টে সরাসরি দায়ের করা একাধিক রিট পিটিশনের মাধ্যমে।

   

এই শূন্যতার ফলে বিচারিক কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক দক্ষতার উপর যে প্রভাব পড়ছে, তা উপলব্ধি করে আদালত ২০২৫ সালের ৯ মে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি নোটিশ জারি করে এই পদগুলি পূরণের সময়সীমা সম্পর্কে স্পষ্টতা চেয়েছিল। এই নির্দেশের প্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাডভোকেট দীক্ষিত ২২ মে, ২০২৫ তারিখে আদালতকে জানান যে মেম্বার (লিগ্যাল) পদটি ১৬ মে, ২০২৫ তারিখে পূরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান যে এপিটিইএল-এ মেম্বার (টেকনিক্যাল) নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে সরকার নিশ্চিত করে যে টেকনিক্যাল মেম্বার ১২ জুন, ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের পেশাদারিত্ব এবং দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে, প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

উভয় পদই এখন পূরণ হওয়ায় আদালত এই পিটিশনগুলি নিষ্পত্তি করে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।পিএনজিআরবি এবং এপিটিইএল-এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি ভারতের শক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিএনজিআরবি পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ ও নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করে, যেখানে মেম্বার (লিগ্যাল) পদটি আইনি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অন্যদিকে, এপিটিইএল বিদ্যুৎ খাতে আপিল সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং মেম্বার (টেকনিক্যাল) পদটি প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞতা প্রদান করে। এই পদগুলির শূন্যতা এই সংস্থাগুলির কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করছিল, যার ফলে বিভিন্ন মামলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছিল।

এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এই সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।দিল্লি হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া শক্তি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে। বিচারপতি সচিন দত্তের নেতৃত্বে আদালত এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সরকারের দায়বদ্ধতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Advertisements

অ্যাডভোকেট আশিস দীক্ষিতের প্রতিনিধিত্ব এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ তিনি আদালতের নির্দেশের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করেছেন।এই ঘটনা ভারতের শক্তি খাতে নিয়ন্ত্রক কাঠামোর গুরুত্ব এবং এই সংস্থাগুলির দক্ষতার উপর নির্ভরশীলতা তুলে ধরে।

পিএনজিআরবি এবং এপিটিইএল-এর মতো সংস্থাগুলি শক্তি খাতে ন্যায়বিচার এবং নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পদগুলির শূন্যতা পূরণের মাধ্যমে সরকার এই সংস্থাগুলির কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করেছে, যা শক্তি খাতে স্থিতিশীলতা এবং দক্ষতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

এই ঘটনা থেকে এটাও স্পষ্ট যে বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় এবং দ্রুত পদক্ষেপ প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা সমাধানে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিরাট নন! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সর্বাধিক রানে শীর্ষ ৫ ভারতীয় ওপেনার কারা?

এই ঘটনা শক্তি খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার এবং বিচার বিভাগের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে।শেষ পর্যন্ত, দিল্লি হাইকোর্টের এই নির্দেশ এবং সরকারের দ্রুত প্রতিক্রিয়া শক্তি খাতে প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা এবং দক্ষতা বজায় রাখার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ ভারতের শক্তি খাতে ন্যায়বিচার এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।