মালদ্বীপে পা দিয়েই মুইজ্জুকে আলিঙ্গন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে উষ্ণতার বার্তা

মালে: দু’দিনের ব্রিটেন সফর শেষে শুক্রবার মালদ্বীপে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে নেমেই তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু নিজে (Narendra…

Narendra Modi Maldives Visit

মালে: দু’দিনের ব্রিটেন সফর শেষে শুক্রবার মালদ্বীপে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে নেমেই তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু নিজে (Narendra Modi Maldives Visit)। সঙ্গে ছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীরা-পুরো প্রশাসনিক শীর্ষ স্তরের উপস্থিতি মোদীর সফরকে এক অনন্য মর্যাদা দিল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

এই সফর নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মালদ্বীপ সফর। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান মালদ্বীপ সফরে গেলেন। মালদ্বীপের স্বাধীনতার ৬০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু।

   

তিনরঙার উচ্ছ্বাস মালেতে

মোদীর সফর ঘিরে মালেতে ছিল উৎসবের আবহ। শহরের রাস্তাজুড়ে ভারতের জাতীয় পতাকা, বিশাল ব্যানার ও মোদীর ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল পথঘাট। প্রবাসী ভারতীয়রা ভিড় জমিয়েছিলেন বিমানবন্দর ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে। হাতে ছিল তেরঙ্গা, মুখে ‘ভারত-মালদ্বীপ বন্ধুত্ব অটুট থাকুক’-এর মতো স্লোগান।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন ধাপ

শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই সফরে ভারতের সাহায্যে তৈরি একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদী। পাশাপাশি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। মূলত সমুদ্রসীমা নিরাপত্তা, অবকাঠামো নির্মাণ ও বাণিজ্যিক সম্পর্কই থাকবে আলোচনার কেন্দ্রে।

কূটনৈতিক মহলের মতে, মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এই সফর সেই বরফ গলিয়ে নতুন বিশ্বাস ও সহযোগিতার রাস্তা খুলে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

সফরের আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত ও মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্তিতে এই সফর আমার কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে এই সফরে।”

মালদ্বীপ সফরের প্রতিটি মুহূর্তই দেখিয়ে দিল দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার গুরুত্ব ঠিক কতটা। এই সফর শুধু সৌজন্যমূলক নয়, ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা গড়ে তোলার এক বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।