জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলায় ফের নতুন করে জাপানি এনসেফালাইটিসের প্রকোপে উদ্বেগ বাড়ছে (Japanese Encephalitis outbreak )। এখনও পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। মঙ্গলবার রাজগঞ্জ ব্লকে আরও এক নাবালকের আক্রান্ত হওয়ার খবরে সতর্কতা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷
আক্রান্ত ওই নাবালককে দ্রুত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজগঞ্জ ব্লকে এই নিয়ে দু’জন আক্রান্ত হলেন, যার মধ্যে একজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।
নতুন করে সংক্রমণের খবরে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার রাজগঞ্জের আক্রান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাহুল রায়, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি টিম নিয়ে। তারা আক্রান্তের বাড়ি, আশপাশের অঞ্চল ও গ্রামের ঝোপজঙ্গল খুঁটিয়ে দেখে লার্ভা নিধনে ব্যবস্থা নেন। জমা জল, মশার উৎস চিহ্নিত করে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে কোনও শূকর পালন কেন্দ্র বা ফার্ম রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হয়। আক্রান্ত পরিবারের হাতে বিশেষ ওষুধ মেশানো মশারি সরবরাহ করা হয়েছে।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাহুল রায় বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জমা জল জমতে না দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।” তিনি জানান, এলাকাজুড়ে স্প্রে ও সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
এদিকে, রাজ্যের সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. পুরণ শর্মা আশ্বস্ত করে জানান, “আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই ফগিং শুরু হয়েছে। যেসব জায়গায় শূকরের খামার রয়েছে, সেগুলি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জাপানি এনসেফালাইটিস একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত শূকর ও পাখির দেহে ভাইরাস বহন করে থাকে। মানুষে এই ভাইরাস ছড়ায় মূলত Culex প্রজাতির মশার কামড়ে। ফলে প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা এবং দ্রুত চিকিৎসা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।