নতুন মরসুমের কথা মাথায় রেখে বহু আগে থেকেই নতুন ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। ভারতীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলারদের চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ও অগ্রণী ভূমিকা ছিল ময়দানের এই প্রধানের। সেক্ষেত্রে বিগত কয়েক মাস ধরেই দলে টানার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসছে শুরু করেছিল মহম্মদ রশিদের (Mohammed Rashid ) নাম। গত সিজনে লিগ ওয়ানের ক্লাব পার্সেবায়া সুরাবায়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর ঊনত্রিশের এই দাপুটে ফুটবলার। সেই দলের হয়ে খেলেছিলেন প্রায় তিরিশের বেশি ম্যাচ। তারমধ্যে ছয়টি গোল ছিল প্যালেস্টাইনের এই মিডফিল্ডারের। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের।
তাঁর রেকর্ড নজরে রেখেই দলে টানতে মরিয়া ছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেইমতো চুক্তিপত্র ও পাঠানো হয়েছিল বহু আগেই। তারপর থেকেই সরকারিভাবে ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল সকলে। তারপর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহরের বুকে পা রাখেন রশিদ। বর্তমানে তাঁকে নিয়েই মাতোয়ারা সকল সমর্থকরা। উল্লেখ্য, গত ক্লাবের হয়ে যাত্রা শেষ করার পর কিছুদিন আগেই সোশ্যাল সাইটে সেই সম্পর্কিত বেশকিছু ছবি আপলোড করেছিলেন রশিদ। নিজের চেনা ছন্দ বজায় রাখাই এখন অন্যতম লক্ষ্য এই বিদেশি ফুটবলারের।
কোচ অস্কার ব্রুজনের তত্ত্বাবধানে সেইমতো নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই তারকা। উল্লেখ্য, এই নতুন সিজনে ইস্টবেঙ্গল দলের হয়ে ৭৪ নম্বর জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে এই ফুটবলারকে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই জার্সি বেছে নিলেন রশিদ? একটি জনপ্রিয় মাধ্যম সূত্রে খবর, এই জার্সির মধ্য দিয়েই নিজের মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। আসলে জুলাই মাসেই জন্ম গ্ৰহন করেছিলেন তাঁর বাবা। সেখান থেকেই এসেছে ৭ নম্বর। এবং মায়ের জন্মমাস এপ্রিল। অর্থাৎ সংখ্যায় যেটি ৪। পাশাপাশি মহম্মদ রশিদের ও জন্ম এই জুলাই মাসেই। গত ৩রা জুলাই জন্মদিন গিয়েছে এই ফুটবলারের।
এবার ৭ থেকে ৪ বিয়োগ করলে হয় ৩। সেজন্যই নিজের দেশের হয়ে তিন নম্বর জার্সি পড়ে খেলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। এছাড়াও তাঁর জার্সিতে লেখা রয়েছে বাসিম রশিদ। দেখি তার বাবার নামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অর্থাৎ সবদিক মাথায় রেখেই এমন সংখ্যার জার্সি বেছে নিয়েছেন প্যালেস্টাইনের এই হাইপ্রোফাইল।