আজ তৃণমূলের শহীদ দিবস (Kunal)। আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ শহীদ দিবস পালন তৃণমূলের। এ দিন ই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বিরোধীদের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দিলেন। তার সঙ্গে উস্কে দিলেন ১৯৯৩ সালের স্মৃতি। ১৯৯৩ সালের এই দিনে, তৎকালীন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই শহীদদের স্মৃতি বাংলার মানুষ আজও বুকে ধরে রেখেছে। এই বছরও ধর্মতলা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছেন।
কুনাল ঘোষ বলেছেন ২১ জুলাইয়ের এই সমাবেশ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক জমায়েত নয়, এটি বাংলার মানুষের আত্মমর্যাদা ও সংগ্রামের প্রতীক। ধর্মতলার রাজপথে জনতার ঢল দেখে বোঝা যায়, বাংলার মানুষ তাদের ইতিহাস ভোলেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সমাবেশ প্রতি বছরই আরও বড় আকার ধারণ করছে।
তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেছেন এই বিশাল সমাবেশের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর মধ্যে হতাশা ও বিভ্রান্তি স্পষ্ট। সিপিএম এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলো এই সমাবেশের বিশালত্ব দেখে হতবাক। বিশেষ করে বিজেপি, যারা বাংলায় তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি শক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা এই সমাবেশকে কল্পনার বাইরে বলে মনে করছে।
কুনালের মতে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বিজেপির পরাজয় এবং তাদের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবাজির কারণে তারা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাংলার মানুষ বিজেপির বাংলা-বিরোধী মনোভাব, ভাষাগত নিপীড়ন এবং অপমানের জবাব দিতে প্রস্তুত।অন্যদিকে, সিপিএমের অবস্থা আরও শোচনীয়।
একসময় বাংলার রাজনীতিতে প্রভাবশালী এই দলটি এখন জনগণের দ্বারা প্রায় বর্জিত মানুষ তাদের শুন্য করেছে। বাংলার মানুষ সিপিএমের শাসনকালের নিপীড়ন ও অত্যাচার ভোলেনি। আজ সিপিএম এমন একটি অবস্থায় পৌঁছেছে যে, তারা নিজেদের পাড়াতেও সমর্থন হারিয়েছে।
এমনকি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও তারা একটি আসন জিততে পারছে না। কুনালের মতে সিপিএমের নেতারা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রলাপ বকেই সময় কাটাচ্ছেন, কিন্তু জনগণের মধ্যে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।
পাগলু ডান্স হবে, শহিদ সভা নয়: কটাক্ষ শুভেন্দুর
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে তিনি বলেন ১৯৯৩ সালে শহীদ দিবসের ঘটনার সময় তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী রাস্তায় ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেস যখন আন্দোলন করছিল, তখন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব নীরব ছিল।
সেই আন্দোলনের স্রোতই পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম দেয়। তিনি আরও বলেন ১৯৯৩ সালের এই মর্মান্তিক ঘটনায় তৎকালীন কংগ্রেসের কেউ খবর পেয়েও ছুতে আসেনি। কিন্তু তারা সবাই মমতার অনুগামী ছিল। তিনি বলেছেন আজ বিরোধীরা টিভি এবং ফেসবুকেই সবচেয়ে বেশি গলা ফাটান। ওটাই তাদের জায়গা ওরা ওখানেই থাকুন। আমরা জনসমুদ্রে যাই।