উত্তর প্রদেশ পুলিশের (Yogi Adityanath) বড় সাফল্য, তাও আবার ভিন রাজ্যে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে রয়েছে ভারতীয় সেনানিবাস। এই রকম এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেনা বাহিনীর নাকের ডগায় বসে দুই হিন্দু ধর্মান্তরিত যুবক চালাচ্ছিলেন অপরাধমূলক কাজকর্ম।
অভিযুক্ত দুই যুবকের নাম শেখর রায় ওরফে হাসান আলি এবং ঋক বণিক ওরফে মহম্মদ ইব্রাহিম। আপাতত এই দুই যুবকের স্থান হয়েছে শ্রীঘরে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এদের গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুরের মনিরামপুর এলাকা থেকে।
এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এরা হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে তাদের পাচার করে দিত। তাদের বিরুদ্ধে এই মহিলাদের দেহ ব্যাবসায়ে বাধ্য করানোর মত অভিযোগও রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বেশ করেকদিন আগে গাজী বাবা নামে এক ব্যাক্তিকে এই এক ই অপরাধের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে যোগী পুলিশ। আরও জানা গেছে এই দুই ব্যাক্তি নাকি এই গাজী বাবার শাগরেদ।
ধর্মান্তরিত করে পাচারের ঘটনা এদেশে ঘটে চলেছে অনেক বছর ধরেই। সূত্র মারফত জানা যায় এই ধরণের অপরাধের পিছনে রয়েছে একাধিক চক্র। গাজী বাবার মত অভিযুক্তেরা হিন্দু যুবকদের মগজ ধোলাই করে তাদের ধর্মান্তরিত করে। শুধু তাই নয় এদের দিয়ে বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজ করায়। জানা গেছে এই দুই অভিযুক্ত যুবক কে ট্রানসিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে উত্তর প্রদেশে এবং তাদের কে আগ্রা আদালতে পেশ করা হবে।
ধর্মান্তকরণের অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিপজ্জনক। সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য যে তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে মধ্য প্রাচ্য থেকে কোটি কোটি টাকা এসে পৌঁছচ্ছে এই গাজী বাবার মত লোকেদের হাতে।
তারা এই ধর্মান্তকরণের মত ঘৃণ্য কাজ করছে এবং মহিলাদের পাচার করে দিচ্ছে মুসলিম প্রধান দেশ গুলিতে। হিন্দু ছেলেদেরকে ধর্মান্তকরণ করিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক এবং নাশকতামূলক কাজ ও করাচ্ছে তারা।
ম্যানচেস্টারে মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে ভারতের সম্ভাব্য একাদশে বিরাট পরিবর্তন!
উত্তর প্রদেশ পুলিশের এই সাফল্য আবারও প্রমান করেছে যে এই ধরণের চক্রে বিরুদ্ধে প্রশাসন সবসময় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। এবং যোগী বাহিনী প্রমান করেছে ধর্মান্তকরণ এবং নারী পাচারের মত নক্কারজনক অপরাধে তাদের জিরো টলারেন্স। যোগী বাহিনীর এই সাফল্যে আশা করা যায় এই ধরণের চক্র গুলি খুঁজে বের করে তাদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া সম্ভব হবে।