বঙ্গে মোদী, দিল্লিতে দিলীপ-নাড্ডা বৈঠক!

একসময় তিনিই ছিলেন বঙ্গবিজেপির সবচেয়ে চর্চিত ও বিতর্কিত মুখ৷ তাঁর সময়ে লোকসভায় ১৮ ও বিধানসভায় ৭৭ হয়েছে বিজেপি৷ বঙ্গ বিজেপির যে কোনও বড় অনুষ্ঠানে তিনি…

Dilip Ghosh Skips Modi’s Durgapur Rally for Delhi Meeting with Nadda

একসময় তিনিই ছিলেন বঙ্গবিজেপির সবচেয়ে চর্চিত ও বিতর্কিত মুখ৷ তাঁর সময়ে লোকসভায় ১৮ ও বিধানসভায় ৭৭ হয়েছে বিজেপি৷ বঙ্গ বিজেপির যে কোনও বড় অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান পুরোহিত হয়ে মঞ্চে থাকতেন৷ এবার এ হেন দিলীপ ঘোষই (Dilip Ghosh) ডাক পাননি মোদী-র মঞ্চে৷ যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেও ডাক পাননি! যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও শমীক ভট্টাচার্যের সভাপতি হওয়ার ঝাঁ চকচকে অনুষ্ঠানেও ডাক পাননি দিলীপ।

দিলীপকে নিয়ে নিত্য নতুন জল্পনা চলছে বাংলার রাজনীতিতে৷ কেউ বলছেন ২১ এর মঞ্চে দেখা যাবে দিলীপ ঘোষকে৷ কেউ বলছেন নিজে নতুন দল আনছেন৷ বার বার মমতার প্রশংসা করে সে সব জল্পনার আগুনে নিজেই ধুনো দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষও৷ কিন্তু শুক্রবার যখন দুর্গাপুরে মোদী আসছেন ঠিক সেসময় বাংলা ছেড়ে দিল্লি উড়ে গেলেন দিলীপ৷ যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে নিজস্ব স্টাইলে সাংবাদিকদের বলে গেলেন, ‘আমি দুর্গাপুর যাচ্ছি না। আমাকে দল ডাকেনি৷ আমি গেলে হসত অস্বস্তি বাড়ত। তাই ডাকেনি। আমি দিল্লি যাচ্ছি’

   

কিন্তু কেন? কেন দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ? এ প্রশ্ন লাখ টাকার। এ নিয়েও গবেষণা ও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে৷ বিজেপির প্রধান পুরোহিত যখন বাংলায় তখন বঙ্গ বিজেপির লড়াকু সৈনিক দিলীপ ঘোষ দিল্লি চলো বললেনই বা কেন?

সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় দিল্লি থেকে একটি ফোন পান দিলীপ ঘোষ৷ সেই ফোনটি এসেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছ থেকে। নাড্ডার নির্দেশ বা আমন্ত্রণ মতোই শুক্রবার সকালে দিল্লি গিয়েছেন দিলীপ। দিল্লিতে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক রয়েছে দিলীপ ঘোষের। কী নিয়ে বৈঠক? কেনই বা এরকম একটা সময়ে দলে কোনঠাসা দিলীপকে দিল্লি ডেকে পাঠালেন নাড্ডা?

Advertisements

এ প্রশ্নের সরাসরি ও স্পষ্ট কোনও উত্তর বঙ্গ বিজেপির কেউ দিচ্ছেন না। বঙ্গ বিজেপিতে এখনও যারা দিলীপ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তারা তো দিলীপের দিল্লি যাওয়া নিয়ে মুখে কলুপ এঁটেছেন৷ কিন্তু তারপরও বাংলার রাজনীতিতে জল্পনা য মমতার ২১ এর মঞ্চে দিলীপকে দেখা গেলে ২৬ এর ভোটের আগে সেটা বঙ্গবিজেপির জন্য ভালো কিছু হবে না৷ বাংলার এক বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একটা অংশের জন্য তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও অনেকে আড়ালে আবডালে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তাই সেরকম কোনও পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয় তাই হয়ত দিলীপের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।

দিল্লি যাওয়ার কারণ যাই হোক, একটা বিষয় পরিষ্কার দলে কোনঠাসা হয়েও বাংলার রাজনীতিতে প্রাণবন্তই থাকছেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।