বাংলাদেশের (Bangladesh) যুক্তিবাদী সাহিত্যিক হুমায়ূন আজাদকে প্রকাশ্যে কোপানো হয়েছিল। ঠিক লেখক অভিজিৎ রায়কে যেমন কুপিয়ে খুন করা হয় ঢাকার অমর একুশ বইমেলার বাইরে। তবে অভিজিতের মতো ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়নি নন্দিত সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের, তিনি মারাত্মক জখম হয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর প্রয়াণ হয় জার্মানিতে।
বাংলাদেশের ভাষাবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের খুনের মামলায় রায় বের হবে আগানী ১৩ এপ্রিল। রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশের পরেই বাংলাদেশের যুক্তিবাদী বুদ্ধিজীবী, সাহিত্য সংস্কৃতি মহলে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে। অনেকের মনেই আশঙ্কা, আইনের ফাঁক দিয়ে অভিযুক্তরা বের হয়ে যেতে পারে।
মুক্ত চিন্তার লেখক হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা একুশ শতকের বাংলাদেশে ধর্মান্ধ শক্তির ভয়ঙ্কর ছক ছিল। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অমর একুশে বইমেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাংলা একাডেমির কাছে আক্রান্ত হয়েছিলেন হুমায়ুন আজাদ। জখম লেখকের চিকিৎসা প্রথমে বাংলাদেশে পরে ব্যাংককে চিকিৎসা হয়। ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান।
হুমায়ুন আজাদের পরিবারের তরফে হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এই ঘটনায়। হুমায়ুন আজাদ ছিলেন আন্তর্জাতিক পরিচিত মুক্ত চিন্তার বুদ্ধিজীবী।
মামলায় অভিযুক্তরা জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) তৎকালীন শীর্ষ নীতি নির্ধারক নেতৃত্ব (সুরা সদস্য)। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা- জেএমবির সুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাউন, আনোয়ার আলম, হাফিজ মাহমুদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক এবং হাফিজ মাহমুদ মৃত।