ভারত বনধে বিঘ্নিত হবে ব্যাংকিং পরিষেবা

সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ভারত বনধে এবার যোগ দিচ্ছে একাধিক শিল্পক্ষেত্র। এই বনধকে সমর্থন করছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লিইজ অ্যাসসিয়েশন। ব্যাংক কর্মীরা এই ধর্মঘটে সামিল…

সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ভারত বনধে এবার যোগ দিচ্ছে একাধিক শিল্পক্ষেত্র। এই বনধকে সমর্থন করছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লিইজ অ্যাসসিয়েশন। ব্যাংক কর্মীরা এই ধর্মঘটে সামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করায় সপ্তাহের শুরুতেই সমস্যায় পড়বেন বহু মানুষ। এই ধর্মঘটের কারণে ব্যাংকিং সেক্টরের পরিষেবা দু’দিন ব্যাহত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে এটিএম পরিষেবাও।

উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সোম-মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী ও জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় ২৮ ও ২৯ মার্চ অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার দেশজুড়ে ধর্মঘট ডেকেছে একাধিক কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। শ্রমিক সংগঠনের ডাকা এই বনধে যোগ দিচ্ছে শিল্পভিত্তিক একাধিক ফেডারেশন। এই ধর্মঘটে অশ নিচ্ছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লিইজ অ্যাসসিয়েশন। ব্যাংক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং আইন (সংশোধনী) বিল ২০২১ এনে মোদি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিকে বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই তারা এই বনধকে সমর্থন করছে।

   

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, সোম-মঙ্গলবার ব্যাংকিং পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ জন্য তারা গ্রাহকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয়, কয়লা, ইস্পাত, তামা, তেল, টেলিকম, বিমা, ডাকবিভাগ, আয়কর দফতর, রেল-সহ বিভিন্ন শিল্প এই বনধে যোগ দেবে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে দেশজুড়ে আগামী দু’দিন বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রের পরিষেবাতে প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার রাজ্য সরকার এবং সরকারের অনুদানে চলা সমস্ত প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। সব কর্মচারীর অফিসে আসা বাধতামূলক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অফিসে পৌঁছতে হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া ওই দু দিন কেউ ছুটি নিলে সেই ছুটি মঞ্জুর করা হবে না।