একুশে জুলাই ঘিরে জল্পনা তো চিরাচরিত। তৃণমূল কংগ্রেসের (Dilip Ghosh) সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘শহিদ দিবস’ পালন নিয়ে প্রতিবছরই রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে ওঠে। তবে এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। রাজ্য রাজনীতিতে একুশে জুলাইয়ের আগেই এবার গুঞ্জনের কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ(Dilip Ghosh) ঘোষ। এক সময়ের রাজ্য সভাপতির মুখে একুশে জুলাইয়ে মঞ্চে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ হতেই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক, জল্পনা— তিনি কি তবে তৃণমূলে ফিরছেন?Dilip Ghosh
এই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছিল তাঁরই একটি মন্তব্য, যেখানেDilip Ghosh তিনি বলেছিলেন, “একুশে কোনও না কোনও মঞ্চে থাকব।” এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমনকি তৃণমূল শিবিরের একাংশও রসিকতা করে বলতে শুরু করেন, দিলীপ ঘোষ কি তবে পুরনো ঘরে ফিরতে চলেছেন?Dilip Ghosh
তবে এই সমস্ত জল্পনার মাঝেই সম্প্রতি বিজেপির নবনিযুক্ত Dilip Ghoshরাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ ঘোষ। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়ে দেন, বিজেপি ত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই, এবং একুশে জুলাই নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথাও নেই।Dilip Ghosh
কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বলেন, “একুশে জুলাই নিয়ে তৃণমূলDilip Ghosh কর্মীদের উৎসাহ থাকবেই। গুঞ্জনও থাকবে। ডিমভাতের উৎসব হয়। কিন্তু আমি দেখলাম, এবার আমাদের পার্টির লোকেদেরও খুবই উৎসাহ ছিল। বিশেষ করে যাঁরা তৃণমূল থেকে এসেছেন, ডিমভাত খেয়ে এসেছেন। তাঁদের মাঝেও খুব কৌতূহল।”Dilip Ghosh
এই মন্তব্য যে বিজেপির অন্দরেই একাংশ নেতাকে উদ্দেশ্য করে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতা-নেত্রীদের নিয়েই যে দিলীপ ঘোষের ক্ষোভ, তা স্পষ্ট। তাঁর বক্তব্য, “জল্পনা মানুষ করবে, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের কোনও উৎসাহ থাকার কথা নয়।”
এই মন্তব্যের পরেই বিজেপির অন্দরমহলে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে— দলবদলু নেতাদের নিয়ে সত্যিই কি অসন্তোষ আছে পুরনো বিজেপি নেতৃত্বের? বিশেষত দিলীপ ঘোষের মতো নেতাদের মধ্যে?Dilip Ghosh
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিছকই হালকা পর্যবেক্ষণ নয়। বরং বিজেপির একটি গোষ্ঠী যে তৃণমূল ঘরানা থেকে আসা নেতাদের ভূমিকা নিয়ে এখনও সন্দিহান, তা পরিষ্কার। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা ও আদর্শের দিক থেকেও নতুন আসা নেতাদের কারণে পরিবর্তন এসেছে বলেই মনে করেন অনেকে।
এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একদিকে নতুন নেতৃত্ব, অন্যদিকে পুরনো নেতাদের চাপা ক্ষোভ— সব মিলিয়ে একুশে জুলাইয়ের উত্তাপ এবার শুধু তৃণমূলের মধ্যেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপির অন্দরেও।
এখন দেখার, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর কী প্রতিক্রিয়া আসে দলের অন্য শিবির থেকে। এবং দলীয় নেতৃত্ব কীভাবে এই চাপা অস্বস্তিকে সামাল দেয়। আপাতত, তৃণমূলের শহিদ দিবস উপলক্ষে তৈরি হওয়া আলোচনার কেন্দ্রে যে বিজেপির একাংশও এসে পড়েছে, তা বলাই যায়।