স্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। নয়াদিল্লিতে টিএমসি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যায় (Rampurhat Massacre) রাজনৈতিক সংযোগ নেই। তাঁর এই অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য স্বস্তির হাওয়া আনলেও তীব্র অস্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবারও শুভেন্দু অধিকারী রামপুরহাটে অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে বগটুই গ্রামের গণহত্যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। সিবিআই তদন্ত চলার মাঝে রামপুরহাটেই তাঁর বিক্ষোভ ও ভাষণ চলে। অভিযোগ, রাজ্য বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা তদন্তকে প্রভাবিত করছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বগটুই গ্রামের পরিস্থিতি নিজেদের মতো করে বোঝাতে সমর্থ হবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শনিবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। তিনি রাজনৈতিক সংযোগ উড়িয়ে দেন। এই সংবাদ আসতেই বিরোধী দলনেতার অস্বস্তি বাড়ল।
শনিবার রামপুরহাটের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃ়ণমূল কংগ্রেসের এমন ভূমিকায় এবার বীরভূমের মাটিতে বিজেপির ভোট জয় কেউ আটকাতে পারবে না। শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে। অভিযোগ, তিনি গণহত্যার মাঝেও ভোটের রাজনীতি খুঁজছেন।
বীরভূমে বিজেপি অস্তিত্বহীন। এই জেলায় তাদের কোনও বিধায়ক নেই। এমনকি সর্বশেষ পুরসভা ভোটে বিজেপি এখানে বিলীন হয়ে গেছে। সবকটি পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। তবে রামপুরহাট পুরসভার একটি ওয়ার্ড সিপিআইএমের দখলে। পুরো জেলায় তৃ়ণমূল কংগ্রেস বনাম সিপিআইএমের ভোট লড়াই হয়েছে। এমনই প্রায় সংগঠনশূন্য বীরভূম জেলায় বিজেপির ধর্নামঞ্চ ঘিরে বিতর্ক জমাট । তদন্ত চলাকালীন কেন ধর্না ও মিছিল তা নিয়েও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মধ্যে প্রশ্ন।
তদন্তের সময় সিপিআইএম কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেয়নি। অথচ বিজেপি নিল তেমন অবস্থান। এ নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।