আইআইএম কাণ্ডে মেডিকেল টেস্টে অরাজি নির্যাতিতা

পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, কলকাতার (IIM Rape) জোকা ক্যাম্পাসে এক মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগকারিণী, যিনি প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন…

IIM Joka Controversy

পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, কলকাতার (IIM Rape) জোকা ক্যাম্পাসে এক মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগকারিণী, যিনি প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন যে তিনি ছেলেদের হোস্টেলে এক সহপাঠীর দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন, তাঁর মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকার করেছেন।

ঘটনাটি আরও জটিল হয়েছে যখন তাঁর বাবা দাবি করেছেন যে তাঁর মেয়ে ধর্ষিত হননি, বরং একটি অটোরিকশা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন(IIM Rape)। এই ঘটনা কলকাতার সাম্প্রতিক ধর্ষণ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) আইআইএম-সি’র জোকা (IIM Rape) ক্যাম্পাসের ছেলেদের হোস্টেলে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারিণী, যিনি প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল আইআইএম-এর ছাত্রী, পরে পুলিশ জানিয়েছে যে তিনি বাইরের একজন এবং অভিযুক্তের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত হয়েছিলেন।

তাঁর এফআইআর-এ দাবি করা হয়, (IIM Rape) তাঁকে কাউন্সেলিং সেশনের জন্য হোস্টেলে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে মাদক দ্রব্য মেশানো পানীয় দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরে আসার পর তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত তাঁকে বিষয়টি প্রকাশ করলে গুরুতর পরিণতির হুমকি দিয়েছিল।

অভিযুক্ত, পারমানন্দ টোপ্পানাওয়ার নামে এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, যিনি ২০২৩ সালে ক্যাট পরীক্ষার মাধ্যমে আইআইএম-এ ভর্তি হন, তাঁকে শুক্রবার রাতেই হরিদেবপুর থানায় দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনজন পুরুষকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি নতুন মোড় নেয় (IIM Rape) যখন অভিযোগকারিণীর বাবা পুলিশের কাছে দাবি করেন যে তাঁর মেয়ে ধর্ষিত হননি, বরং তিনি একটি অটোরিকশা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকার করেছেন এবং নিজের পোশাক ও দিতে অস্বীকার করেছেন। যা তদন্তকে আরও জটিল করেছে। এই দাবি ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ এখন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে এবং ক্যাম্পাসের অন্যান্য ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এই ঘটনা আইআইএম-সি’র (IIM Rape) নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণীকে হোস্টেলের ভিজিটরস রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হয়নি, যা নিরাপত্তা প্রোটোকলের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

হোস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের কার্যকারিতা নিয়ে তদন্ত চলছে। আইআইএম-এর ডিরেক্টর-ইন-চার্জ শৈবাল চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরের কাছে একটি রিপোর্ট তলব করেছে।

Advertisements

এই ঘটনা কলকাতায় (IIM Rape) সাম্প্রতিক ধর্ষণ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আরও উদ্বেগজনক। গত ২৫ জুন সাউথ কলকাতা ল কলেজে এক ছাত্রীকে তিনজন—একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং দুজন সহপাঠী—কথিতভাবে গণধর্ষণ করে।

এই ঘটনায় তৃণমূল (IIM Rape) কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত মনোজিৎ মণ্ডল সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, গত বছর আরজি কার হাসপাতালে এক নার্সের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে নারী নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল।

রাফায়েল জেটের ক্ষতি করতে পারবে না কোনও মিসাইল, শক্তিশালী ঢাল পেতে চলেছে এই যুদ্ধবিমান

আইআইএম (IIM Rape) কলকাতার এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে নারী নিরাপত্তা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগকারিণীর মেডিকেল পরীক্ষায় অস্বীকৃতি এবং তাঁর বাবার দাবি ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করলেও, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ঘটনা কলকাতার সাম্প্রতিক ধর্ষণ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ককে আরও তীব্র করেছে। আগামী দিনে তদন্ত কী ফলাফল দেয়, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।