বৃষ্টির মরসুমে সবজির বাজারে বাড়ল মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস

বর্ষার মরসুমে কলকাতার কাঁচাবাজারে সবজির দামে (Vegetable Prices) উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। টানা বৃষ্টি এবং সরবরাহে কিছুটা ঘাটতির কারণে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম…

bustling vegetable market in Kolkata city during the morning hours

বর্ষার মরসুমে কলকাতার কাঁচাবাজারে সবজির দামে (Vegetable Prices) উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। টানা বৃষ্টি এবং সরবরাহে কিছুটা ঘাটতির কারণে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে, যা সাধারণ মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পকেটে চাপ সৃষ্টি করছে। তবে কিছু সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে, যা ক্রেতাদের জন্য সামান্য স্বস্তির কারণ। আজকের বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা যাক, কলকাতার বিভিন্ন বাজারে কোন সবজি কত দামে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচালঙ্কা ও টমেটোর উচ্চমূল্য

বাজারে সবচেয়ে (Vegetable Prices) বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে কাঁচালঙ্কার দাম। টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, ফলে কাঁচালঙ্কার দাম আকাশছোঁয়া। আজ, ১২ জুলাই, কলকাতার বিভিন্ন বাজারে কাঁচালঙ্কা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই দাম ছিল ১৫০-১৮০ টাকার মধ্যে, অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দামে ৫০-৭০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

   

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে গ্রামাঞ্চল থেকে সবজির (Vegetable Prices) সরবরাহ কমে গেছে, যা দাম বাড়ার প্রধান কারণ।টমেটোও এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কলকাতার কাওরানবাজার, মানিকতলা এবং গড়িয়াহাটের মতো বড় বাজারে টমেটোর দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি। গত মাসে এই সবজির দাম ৮০-৯০ টাকার মধ্যে ছিল। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্ষাকালে ফসলের ক্ষতি এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে টমেটোর দাম বাড়ছে।

আলু ও পেঁয়াজ

আলু এবং পেঁয়াজের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। আজকের বাজারে আলু (Vegetable Prices) প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম কিছুটা বেশি, ৪০-৪৫ টাকা। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে, ছোট পেঁয়াজ ৬৫-৭৫ টাকা এবং বড় পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও, সাধারণ মানুষের জন্য এখনও এটি ব্যয়বহুল।

অন্যান্য সবজি (Vegetable Prices)

বেগুন, ঝিঙে ও শসার দামবেগুনের দাম বাজারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। লম্বা বেগুনের দাম কিছুটা কম, ৭০-৮০ টাকা, যেখানে গোল বেগুন ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে এবং শসার দামও উচ্চ, প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা। এই সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে ফসলের ক্ষতি এবং পরিবহনের অসুবিধা দাম বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ।

শাক ও অন্যান্য সবজি

শাকসবজির (Vegetable Prices) মধ্যে পালং শাকের দাম ১২-১৫ টাকা প্রতি আঁটি, যা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। তবে কলমি শাক এবং লাল শাকের দাম ২০-২৫ টাকা প্রতি আঁটি। করলা, পটোল, এবং ধুন্দলের দাম ৬০-৮০ টাকা প্রতি কেজি। সজনে ডাটার দাম বেশি, ১২০-১৪০ টাকা প্রতি কেজি। কাঁচা পেঁপে এবং কাঁচা কলার দাম তুলনামূলকভাবে কম, যথাক্রমে ৩০-৪০ টাকা এবং ৩০-৪০ টাকা প্রতি হালি।

Advertisements

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়াকলকাতার বাজারে ক্রেতারা সবজির দাম (Vegetable Prices) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। মানিকতলা বাজারের একজন ক্রেতা বলেন, “কাঁচালঙ্কা আর টমেটোর দাম এত বেশি যে রান্নায় ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছি। বাজারে এসে মনে হয়, সবকিছুই এখন বিলাসিতা।” আরেকজন ক্রেতা, অমিত সাহা, বলেন, “বৃষ্টির অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।”

বিক্রেতাদের বক্তব্য

বিক্রেতারা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদেরও লাভের পরিমাণ কম। একজন বিক্রেতা “বৃষ্টির কারণে গ্রাম থেকে সবজি আনতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, আর ফসলের ক্ষতিও হচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে দাম বাড়াচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টি কমলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে (Vegetable Prices) সরকারি উদ্যোগপশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে, যারা বিভিন্ন বাজারে দাম পর্যবেক্ষণ করছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এই উদ্যোগ এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরবরাহ বাড়াতে এবং পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

খেলোয়াড় রিলিজ করার ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্কিনকিস

কলকাতার সবজি বাজারে (Vegetable Prices) বর্তমানে দামের উত্থান-পতন চলছে। বৃষ্টির প্রভাব এবং সরবরাহের ঘাটতি দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলেও, কিছু সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ক্রেতারা স্বস্তির জন্য অপেক্ষা করছেন, এবং বিক্রেতারা আশা করছেন সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। আগামী দিনে আবহাওয়া এবং বাজারের পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।