‘জনতার টাকা দিয়ে এলিট শিক্ষা?’ ফিরহাদের সন্তানদের স্কুল নিয়ে শমীকের কটাক্ষ

বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে (Shamik Bhattacharya)  এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ও তাদের উন্নয়নে কেন্দ্রের নেওয়া…

"Shamik Bhattacharya Raises Question: Where Did Firhad Hakim's Daughter Study?"

বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে (Shamik Bhattacharya)  এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ও তাদের উন্নয়নে কেন্দ্রের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে বারবার কথা বলছেন শমীক। রাজ্যের রাজনৈতিক মঞ্চে, বিশেষ করে সায়েন্স সিটিতে বিজেপির(Shamik Bhattacharya)  সদর দফতরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি সাফ জানিয়েছেন, বিজেপি সংখ্যালঘুদের উন্নতি চায় এবং তাই তাদের উচিত দলের সঙ্গে আসা। তবে শমীক এই বার্তা দেওয়ার পরই রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিমের কড়া প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে।(Shamik Bhattacharya)  

ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি এক সভায় দাবি করেছেন, “বিজেপি (Shamik Bhattacharya)  কোনওভাবেই সংখ্যালঘুদের ভোট পাবে না।” তাঁর এই মন্তব্যের পর শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, “ভোট পাওয়ার জন্য আমি কোনো আবেদন করিনি। মুসলিম ভাইয়েরা ভোট না দিলেও, তৃণমূলের বিসর্জন ঘটাবো।” শমীক মূলত তাঁর বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “মুসলমানদের চিন্তা করতে বলছি, ববি হাকিমের মেয়েরা(Shamik Bhattacharya)  কোথায় পড়াশোনা করেছেন? তারা কি সেই শিক্ষা পেয়েছেন, যা সাধারণ মুসলিম পরিবারগুলোর সন্তানদের জন্য সম্ভব নয়?” শমীকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলের দুই মুখপাত্র ফিরহাদ ও ববি হাকিমের ‘দ্বিমুখী’ রাজনীতি এবং তাদের শিক্ষাদানে অবগতির অভাবের দিকে আঙুল তুলেছেন।(Shamik Bhattacharya)  

   

শমীক আরো দাবি করেন, “ববি হাকিম, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং জাভেদ খানের মতো তৃণমূল নেতারা তাঁদের সন্তানদের কখনো মাদ্রাসায় পড়াননি। তাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো সবই ছিল(Shamik Bhattacharya)  বেসরকারি, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এবং কলেজ।” তার বক্তব্যে তিনি তৃণমূল নেতাদের ‘উন্নত শ্রেণি’ হিসেবে তুলে ধরেন, যারা নিজেদের সন্তানদের জন্য ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিক্ষা নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু সাধারণ মুসলিম জনগণের জন্য এই সুযোগ নেই।(Shamik Bhattacharya)  

এমনকি শমীক হুমকি দেন, “তৃণমূল যখন ভোট চাইবে, তখন মুসলমানদের জন্য তাদের ‘ধর্মীয় খোলস’ ফিরে আসবে। ফেজ টুপি পরে মুসলমানদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে, কিন্তু এটি আর কাজ করবে না।” এর মাধ্যমে(Shamik Bhattacharya)  তিনি তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, যেখানে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শমীকের এই বক্তব্যটি বিজেপির একটি দীর্ঘদিনের কৌশল, যেখানে তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে। এই ধরনের বার্তা দিয়ে(Shamik Bhattacharya)  শমীক জনমত সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন, যেখানে তারা দাবি করছেন যে তৃণমূলের শাসনকালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যথাযথ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তাঁর মতে, তৃণমূল শুধু ভোটব্যাংক হিসেবে মুসলিম সম্প্রদায়কে ব্যবহার করছে, তাদের প্রকৃত উন্নয়নে কাজ করছে না।(Shamik Bhattacharya)  

Advertisements

ফিরহাদ হাকিমের ‘দুর্গা পূজা’ প্রসঙ্গ তুলে শমীক বলেন, “ববি হাকিম তো দুর্গা পূজা করেন, তার এমন পরিবর্তন কীভাবে হলো?” শমীকের এই মন্তব্যটি তৃণমূলের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভাবমূর্তির প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। তৃণমূল এবং বিশেষ করে হাকিম পরিবার এর আগে মুসলিম সম্প্রদায়ের একধরণের পৃষ্ঠপোষকতা দাবি করলেও, শমীকের এই মন্তব্যে তৃণমূলের দুইমুখী রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।(Shamik Bhattacharya)  

শমীকের বক্তব্যে এমন এক অবস্থা ফুটে ওঠে, (Shamik Bhattacharya)  যেখানে সংখ্যালঘুদের জন্য বাস্তব উন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। শমীকের মতে, তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক গেমের জন্য মুসলমানদের ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করলেও তাদের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। ফলে সাধারণ জনগণের জন্য এই ‘উন্নয়ন’ কেবল এক রূপকথা।(Shamik Bhattacharya)  

এই প্রসঙ্গে, শমীকের অভিযোগ যে, তৃণমূল(Shamik Bhattacharya)  নেতারা মুসলমানদের ‘ভোটার’ বানিয়ে রেখে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চান, তা রাজ্য রাজনীতির জন্য নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে। তবে, শমীকের এই বক্তব্য রাজ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে, কারণ এটি শুধুমাত্র রাজনীতির চালাকি নয়, সমাজের বৃহত্তর অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

শেষ পর্যন্ত, শমীকের এই কটাক্ষ তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশলকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ তৈরি করেছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়টি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মোড় নিতে পারে, যা ভোটব্যাংক রাজনীতি, ধর্মীয় পরিচয় এবং উন্নয়নের বাস্তবতা নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি করবে।(Shamik Bhattacharya)