সম্প্রতি ল’কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (AI ) সাসপেন্ডেড নেত্রী রাজন্যা হালদার এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, দলের একদল নেতা ও কর্মী তাঁর এবং তাঁর স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীর প্রতি অপেশাদারিত্ব ও চক্রান্তমূলক আচরণ করেছেন। রাজন্যার অভিযোগ, দলের মধ্যে অনেক “মনোজিৎ” নামের নেতার উপস্থিতি রয়েছে, যারা নারী সম্মানহানি এবং কুপ্রবৃত্তি দ্বারা তৃণমূলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চাচ্ছে।(AI )
রাজন্যা জানান, তিনি নিজেও সেই সব মনোজিৎদের বিকৃতির শিকার হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এআই (অ্যাডভান্সড ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে এবং তা ছড়িয়ে (AI ) দেওয়া হয়েছে। রাজন্যার মতে, তিনি বার বার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন(AI ) , কিন্তু তা কোনো ফলপ্রসূ পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যায়নি। এমনকি, দলের নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও তিনি পৌঁছতে পারেননি, যা তাকে হতাশ করেছে। রাজন্যার অভিযোগের ভিত্তিতে, তার স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তী সম্প্রতি পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজন্যার ছবি বিকৃত করে তার সামাজিক সম্মান হানি করা হয়েছে।
রাজন্যার অভিযোগের পর দলের মধ্যে অশান্তির পারদ আরও চড়েছে। একদিকে রাজন্যা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন, অন্যদিকে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ঘোষ এবং তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসরা রাজন্যাকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। তাঁদের মতে, রাজন্যা যে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন, তা দলের সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
এদিকে, এক নতুন মোড়ে তৃণমূলের জয়ী(AI ) ব্যান্ডের (গানের দল) আরেক সদস্যা বৈশালী দত্তগুপ্ত রাজন্যাকে বিঁধেছেন। বৈশালী জানান, রাজন্যা বলেছেন যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতে পারেননি, যা তাঁর মতে সম্পূর্ণ মিথ্যা। বৈশালী আরও বলেন, “রাজন্যা বলছেন, দলে অনেক মনোজিৎ রয়েছে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন।” তাঁর মতে, এই ধরনের অভিযোগ কেবলমাত্র দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য আনা হচ্ছে। বৈশালী দাবি করেছেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদে বা দলের সহকর্মীদের কাছে মেয়েরা সুরক্ষিত। এ ধরনের অভিযোগের মাধ্যমে এমন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে ছাত্রীরা তৃণমূলকে ভয় পায়।”(AI )
বৈশালীর ভাষায়, রাজন্যা যে অভিযোগ তুলেছেন, (AI ) তার উদ্দেশ্য দলের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং কিছু নেতাকে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা। তিনি এটাও বলেন, “রাজন্যার দাবির মধ্যে কোনো সত্যতা নেই, এবং এ ধরনের অভিযোগ কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য।”
অন্যদিকে, রাজন্যা হালদারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের কোন সঠিক প্রতিকার পাওয়া যায় কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে, কিন্তু তদন্ত কতটা দ্রুত এবং সঠিকভাবে হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।(AI )
এ ধরনের বিতর্ক এবং অভ্যন্তরীণ অশান্তির পর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং দলটির সম্মানিত নেতা ও নেত্রীর প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কতটা বজায় থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজন্যা এবং বৈশালীর বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য এবং চর্চা, তৃণমূলের ভবিষ্যত রাজনীতিতে একটি নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে।(AI )
রাজন্যার অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে দলের সুনাম এবং নৈতিকতার প্রতি গুরুতর প্রশ্ন উঠবে। তবে, এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়, কারণ তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দলের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি।