Rampurhat Massacre: সিবিআই আসছে, যে কোনও মুহূর্তে ‘বুকে ব্যথা’ শুরু হবে কেষ্টর

এমনিতেই গরু পাচার সহ বিভিন্ন মামলায় সিবিআই ডাকলেই ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি। হাসপাতালে ঢুকে যান তিনি। তবে মুখে বলেন সবরকম তদন্ত…

TMC leader Anubrata Mondal hospital

এমনিতেই গরু পাচার সহ বিভিন্ন মামলায় সিবিআই ডাকলেই ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি। হাসপাতালে ঢুকে যান তিনি। তবে মুখে বলেন সবরকম তদন্ত সহযোগিতা করব। এবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যা (Rampurhat Massacre) তদন্তে সিবিআই ঢুকবে খোদ কেষ্ট গড়ে-বীরভূমে।

কী করবেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট? জেলার রাজনীতিতে গুঞ্জন যে কোনও সময় বুকে ব্যথা শুরু হবে কেষ্টবাবুর! বিভিন্ন সময়ে পুলিশকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া কেষ্ট ‘আতঙ্কিত’। তিনি নীরব। মুখ খুলছেন না। গণহত্যার তদন্তে সিবিআই জালে পড়তে পারেন বলে ঘুম উড়েছে টিএমসি জেলা সভাপতির।

   

আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যা তদন্ত করবে সিবিআই। এই নির্দেশের জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ছড়াচ্ছে ভয়। যেভাবে দশ জনকে কুপিয়ে মেরে তারপর তেল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার জেরে দেশ জুড়ে আলোড়ন। রাজ্য সরকারের তদন্তে ভরসা না রেখেই আদালত দিয়েছে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

বগটুই গ্রামে গত সোমবার বোমা মেরে খুন করা হয় স্খানীয় তৃণমূল কংগ্রেস উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরেই গ্রামে গণহত্যা সংঘটিত হয়। ঘটনার পর পর টিএমসির জেলা সভাপতি শর্ট শার্কিট থেকে আগুন ছড়ানো ও তার জেরে পুড়ে মৃত্যুর দাবি করেন। তবে ফরেন্সিক তদন্তে উঠে এসেছে কেটে কেটে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার রিপোর্ট। আগে রাজনৈতিক গণহত্যা হলেও এত বড় মাপের সংখ্যালঘু গণহত্যা পশ্চিমবঙ্গে হয়নি গত চার দশকে।  বগটুই গ্রামে গিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দান ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁঁপে সঙ্গে ছিলেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং হৃদয়গ্রাহী। জনমানুষের যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে এই ঘটনা। মানুষের মনে আস্থা জোগাতে উপযুক্ত তদন্তের প্রয়োজন। যাতে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়। তাই আদালত জনমানুষের মনের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। শুধু তাই নয়, রাজ্য আর এই নিয়ে কোনও তদন্ত করবে না। এছাড়া ধৃতদের সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ