বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী (Samik Bhattacharya) পদপ্রার্থী কে, সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সম্প্রতি এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে এড়িয়ে যান। বরং তিনি এ বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব-এর ওপর দায় চাপিয়ে দেন। তার মন্তব্যের পর আবারও বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রের অন্দরমহলে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।(Samik Bhattacharya)
শমীক ভট্টাচার্যের অবস্থান
সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী(Samik Bhattacharya) কে হতে পারেন, বিশেষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কি দলের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হবেন? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে শমীক বলেন, “এতগুলো রাজ্যে নির্বাচন লড়ছি, কোথাও কি কাউকে ‘মুখ’ করা হয়েছে?” তার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম বলেননি। এই বক্তব্যের মধ্যে তিনি দলের (Samik Bhattacharya) সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে দায়ী করে বলেন, “পার্টি যদি মনে করে, তা হলে করতেই পারে।” এর মাধ্যমে শমীক আবারও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা রাখলেন।
এটি এমন এক মুহূর্তে এসেছে যখন বিজেপির অন্দরে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল। বিশেষত, বিজেপি নেতাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় ও অন্যান্য নেতাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে জল্পনা ছিল। এই পরিস্থিতিতে শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সংগঠন দুর্বল, তবে তা নিয়ে আমরা কিছু করব না, কারণ আমাদের দল সর্বভারতীয় নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখেছে।”(Samik Bhattacharya)
বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা
এদিনের সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার (Samik Bhattacharya) কথাও স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “বিজেপি রাজ্যে সাংগঠনিক দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে, তবে আমরা চেষ্টা করছি।” একদিকে যেমন তিনি দলের দুর্বলতার কথা বলছেন, অন্যদিকে, তিনি এটিও জানিয়েছেন যে, ভোটের দিন প্রতিটি বুথে এজেন্ট দিতে তাদের জন্য একটি “অবাস্তব দাবি” নয়, তবে এটা কখনই সহজ কাজ নয়।(Samik Bhattacharya)
“সব বুথে এজেন্ট দিতে পারব, এমন অবাস্তব দাবি তো বিজেপি করছে না। (Samik Bhattacharya) আমাদের বিশ্বাস, ভোটাররা নিজেদের রাজনৈতিক বোধে বিশ্বাস রেখে তৃণমূলকে পরাজিত করবে,” — শমীক ভট্টাচার্যের এমন মন্তব্যে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। যদিও তার এই বক্তব্যে তৃণমূলের পক্ষে কিছু বিতর্কিত প্রশ্নও উঠে আসে, তবে তিনি দাবি করেছেন যে, পরবর্তী নির্বাচনে তৃণমূল হারবে এবং বিজেপি সরকার গঠন করবে।(Samik Bhattacharya)
সিবিআই তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা
এছাড়া, আরজি কর কাণ্ড সহ নানা মামলায় সিবিআই তদন্তের (Samik Bhattacharya) দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় শমীক ভট্টাচার্যকে। তিনি বলেন, “আমি সরকারের লোক নই, সিবিআইয়ের মুখপাত্রও নই। তবে দল হিসেবে বলতে পারি, সিবিআইয়ের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতায় আমরা ক্ষুব্ধ, বিরক্ত।” এটির মাধ্যমে শমীক বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যে, সিবিআই তদন্ত-এর ক্ষেত্রে দল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ (Samik Bhattacharya) হলেও, সঠিক সময়ে তদন্ত শেষ হওয়ার দিকে নজর রাখছে।
শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির ভবিষ্যৎ
শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যের পর শুভেন্দু অধিকারী ও তার সম্ভাব্য ভূমিকা(Samik Bhattacharya) নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। কিছু দিন আগেই, শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, যদি হিন্দুরা বিজেপিকে ৫-৬ শতাংশ ভোট দেন, তাহলে রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন করা সম্ভব। রাজ্য বিজেপির মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে একমাত্র নেতা যিনি জনমানসে বেশ পরিচিত এবং ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।(Samik Bhattacharya)
তবে, শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই সিদ্ধান্ত থাকছে, এবং তারা কোনও বিশেষ ব্যক্তি নাম ঘোষণা না করে দলীয় কৌশল অবলম্বন করতে পারে।