বাংলার মহিলা ফুটবলের উন্নয়নে গত কয়েক বছর ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কন্যাশ্রী কাপ থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই দল। তৎকালীন কোচ সুজাতা কর থেকে শুরু করে বর্তমানের অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ। সময়ের সাথে সাথে কোচের বদল হলেও বদলায়নি লড়াকু মানসিকতা। শেষ কয়েক বছর ধরে পুরুষ দলের পারফরম্যান্স ধারাবাহিকভাবে তলানিতে থাকলেও সময় যত এগিয়েছে ততই মন জয় করছে মশাল কন্যারা। শেষ সিজনে তাঁদের হাত ধরেই শাপ মুক্তি ঘটেছে ময়দানের এই প্রধানের।
একের পর এক শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে সর্বভারতীয় মহিলা ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-হলুদের মহিলা দল। বলতে গেলে বাংলার প্রথম দল হিসেবে সর্বভারতীয় এই মহিলা ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই সুবাদে দল স্থান করে নিয়েছে এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে। সেই কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই দল গঠন শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। ভারতীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে দল। এক্ষেত্রে গত ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ সিজনের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও যুক্ত হয়েছেন দলে।
বলতে গেলে আগের থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে ফিরতে চলেছে অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। তবে শুধুমাত্র ফুটবলার নয়, এবার দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে নতুন ফিজিওথেরাপিস্ট ডঃ শ্রুষ্টি পাটিলকে। তবে গতবারের ফিজিওকে ও রাখা হচ্ছে দলের অন্দরে। আসলে এই দুই ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়ে মূলত দলকে ফিট রাখাই অন্যতম লক্ষ্য ম্যানেজমেন্টের। পূর্বে একাধিক ফুটবল ক্লাব এবং অরগানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন শ্রুষ্টি পাটিল। ইন্টার কাশী থেকে শুরু করে জেএসডাব্লু স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড সহ মুম্বাই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ও কাজ করেছেন তিনি।
এবার কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধানের দায়িত্বে। আসলে এই নয়া সিজনে ছেলেদের পাশাপাশি মহিলা দলের দিকেও বাড়তি নজর দিচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁদের পারফরম্যান্সের দিকে বাড়তি নজর থাকবে সকলের।