গত মরসুমে দলের রিজার্ভ বেঞ্চকে শক্তিশালী করতে একাধিক তরুণদের দলে টেনেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। সেক্ষেত্রে রক্ষনভাগের পাশাপাশি তিন কাঠির দিকে ও নজর ছিল ম্যানেজমেন্টের। সেইমতো তরুণ গোলরক্ষক সোম কুমারকে (Som Kumar) চূড়ান্ত করেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল দল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলতে আসার পূর্বে স্লোভেনীয় লিগের শক্তিশালী ক্লাব এন কে অলিম্পিজা লুব্লজানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোম। সেই দলের জার্সিতে খেলেছিলেন প্রায় মোট ১৩টি ম্যাচ। যার মধ্যে ৬টি ক্লিনশিট থেকেছে এই ফুটবলারের।
এইসব দিক মাথায় রেখেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছিল দেশের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব। কিন্তু ভারতে আসার পর খুব একটা সুযোগ পাননি জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই তরুণ ফুটবলার। মাঠে নামতে পেরেছিলেন মাত্র তিনটি ম্যাচে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিলেন এই গোলরক্ষক। স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তীতে উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে আবার স্লোভেনিয়া ফিরে যান তিনি। সেখানকার ফুটবল ক্লাব এনকে র্যাডমলিতে যোগদান করেন সোম কুমার। আসলে বিদেশে ফিরে গিয়ে নিজের ছন্দ ফেরানোই অন্যতম লক্ষ্য ছিল তাঁর।
সেটাই হয়েছে গতকাল। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে গত শুক্রবার এই দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটে বছর কুড়ির এই ভারতীয় গোলরক্ষকের। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছে দেশের সকল ফুটবলপ্রেমীদের। এক্ষেত্রে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব হাদউক স্প্লিটের বিরুদ্ধে তাঁকে মাঠে নামিয়েছিলেন দলের কোচ। বলাবাহুল্য, যতক্ষণ মাঠে ছিলেন প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট চাপে রেখেছিলেন ভারতের এই গোলরক্ষক। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষেই তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ।
বিকল্প গোলরক্ষক মাঠে নামলেও দলের গোল দুর্গ অক্ষত রাখা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। সোমের উপস্থিতি যে দলের জন্য কতটা ইতিবাচক সেটা হয়তো ভালো মতোই বুঝতে পেরেছেন সেই দলের কোচ। তবে আগামী দিনে নিজেকে ধরে রাখাই অন্যতম লক্ষ্য এই ভারতীয় ফুটবলারের।