রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড (Rampurhat Massacre) নিয়ে শুনানি শুরু হল। এদিন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনো সিসিটিভি লাগানো হয়নি। যেখানে তদন্ত চলছে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে প্যাকেজ ঘোষণা করে দিল । এটা সঠিক নয়। এর ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে। অন্যদিকে আইনজীবী রবি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, ‘মিহির লাল শেখ যার আত্মীয় মারা গেছে। তিনি আমাদের বলেছেন রাত ৮.৩০ উপপ্রধান খুন হন। রাত ন’টা নাগাদ সমর্থকদের থানা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। ৫০০ মিটারের মধ্যে রামপুরহাট পুলিশ স্টেশন থাকলেও তাদের ফোনে জানানো সত্ত্বেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। এখনো পর্যন্ত তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। কাল বিনা বিবির মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার কোনো গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ হচ্ছে অবৈধ বালি খাদান ও পাথর খাদানে তোলাবাজি। এলাকার দখল নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়েছে তার থেকেই এই ঘটনা।
আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ভাদু শেখের মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জড়িত থাকার বিষয়টি কেউ একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। ইতিমধ্যে তাকে সিবিআই বারবার ডেকে পাঠিয়েছে।
কিছুক্ষণ আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এই ঘটনার পেছনে ব্লক প্রেসিডেন্ট কে গ্রেপ্তার করার জন্য। তাহলে শাসকদলের সঙ্গে জড়িত আছে প্রমাণিত। মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকে পরিষ্কার ঘটনার পেছনে কারা জড়িত আছেন তিনি তা জানেন।
যদি প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন যে কতজন এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর উত্তরে আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান ৪ জন। প্রত্যক্ষদর্শী ওই ১৪ বছরের ছেলেকে পুলিশ ইতিমধ্যে কাস্টডিতে নিয়েছে কিন্তু সে কোথায় আছে তা জানা যাচ্ছে না। আইনজীবী কৌস্তব বাগচী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বহু নির্দেশে সিবিআই তদন্তের উল্লেখ রয়েছে। যেখানে দশ-বারোজন মারা গেছে সেখানে কেন সিবিআই তদন্ত হবে না।
আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ছোট আঙারিয়া ঘটনার সময় আদালতের নির্দেশ দিয়েছিল সে নির্দেশে উল্লেখ ছিল সিপিআইএম পার্টি সঙ্গে জড়িত লোকেরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং শাসকদলের তদন্তকারী সংস্থা কি দিয়ে তদন্ত করানো সঠিক নয়। সেই সময়ের আদালতের নির্দেশ কি আমি তুলে ধরলাম।
এদিন বিজেপির তরফের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে এখনো পর্যন্ত কোনো গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে কিনা। ভাদু শেখ এবং তার সংগীতের সঙ্গে কি ব্যবহার হয়েছে তার বিস্তারিত চিঠি অনুব্রত মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রী কে দিয়েছেন। এরপরেও কী করে পুলিশ মন্ত্রী হিসাবে তার পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে। সেই থেকেই বোঝা যাচ্ছে তদন্তের কিভাবে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী জানেন সেখানে কী হয়েছে। যেখানেই তদন্ত চলছে সেখানে ডিজে সামনে মুখ্যমন্ত্রী কি করে একটা করে আইনের সেকশন যুক্ত করার কথা বলছেন।’