Indian Air Force Tejas: ভারতীয় বায়ুসেনার অনেক মারাত্মক যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে তেজসকে সবচেয়ে দ্রুততম যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারত তার উন্নয়নকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। ভারতের লাইট যুদ্ধ বিমান (LCA) Tejas Mk1A আগামী ৫ বছরে উৎপাদন লাইট-শ্রেণীর ফাইটার জেট বিভাগে এক নম্বরে থাকবে।
তেজস এমকে১এ-এর বিশেষত্ব কী?
তেজস এমকে১এ হল ৪.৫ প্রজন্মের একক-ইঞ্জিন মাল্টিরোল ফাইটার জেট। এটিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী চিনা-নির্মিত পাকিস্তানি ফাইটার জেট জেএফ-১৭ এবং কোরিয়ান টি-৫০ ফাইটার জেটের চেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। এটি AESA রাডার এবং আত্মরক্ষা জ্যামারের মতো উন্নত এভিওনিক্স দিয়ে সজ্জিত। এছাড়াও, এটি Astra এবং Brahmos-NG এর মতো দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম।
একই সাথে, এর কম্প্যাক্ট ডিজাইন এবং কম দাম এটিকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত করে তোলে, লাদাখ থেকে মরুভূমি পর্যন্ত। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৯ সালের মধ্যে Tejas Mk1A-তে ৭০% এরও বেশি দেশীয় উপাদান থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভারতকে বিদেশী সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।
তেজসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে
তেজসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য HAL তার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। বেঙ্গালুরুতে দুটি উৎপাদন লাইন রয়েছে এবং নাসিকে তৃতীয় লাইনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত HAL বার্ষিক ২৪টি জেট তৈরি করবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বার্ষিক ৩০টি জেটে পৌঁছাতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, HAL ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে ৬০টিরও বেশি তেজস Mk1 বিমান তৈরি করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই ৭৩টি তেজাস Mk1A যুদ্ধবিমান এবং ১০টি প্রশিক্ষক বিমানের অর্ডার পেয়েছে এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে আরও ৯৭টি Mk1A বিমানের জন্য নতুন অনুমোদন পেয়েছে। এই অর্ডারের মাধ্যমে, ভারতীয় বায়ুসেনার ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে মোট ১৮০টি তেজস Mk1A ইউনিট থাকবে।
একই সাথে, অনুমান করা হচ্ছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে, তেজস এমকে১এ-এর উৎপাদন পাকিস্তানি জেএফ-১৭-এর ২১৩ ইউনিট এবং কোরিয়ান টি-৫০-এর ২২০ ইউনিটকে ছাড়িয়ে যাবে এবং রফতানি অর্ডার পেলে এই সংখ্যা ২০০-২৫০ ইউনিটে পৌঁছাতে পারে। যার ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে লাইট যুদ্ধ বিমান তৈরির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের এক নম্বরে পরিণত হবে।