গত মরসুম পর্যন্ত পূর্ব পরিকল্পিত সময়ের মধ্যেই আয়োজিত হয়েছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। তবে এবার অনেকটাই বদলেছে পরিস্থিতি। দেশের এই প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। আসলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের চুক্তি শেষ হতে চলেছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। তারপর আদৌও কোন পথে এগোবে এই টুর্নামেন্ট সেটা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারনা পায়নি ক্লাব গুলি। যারফলে সবদিক মাথায় রেখেই এবার দল গঠনের জন্য কার্যত ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করছে দেশের একাধিক ফুটবল ক্লাব।
তবে মনে করা হচ্ছে সব ঠিকঠাক থাকলে এই বছর একটু পিছিয়ে যেতে পারে টুর্নামেন্টের সময়। যারফলে সেপ্টেম্বরের বদলে অক্টোবরে শুরু হতে পারে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে সমস্ত কিছু। বলাবাহুল্য, এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনোকিছু না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রাক-মরসুম প্রস্তুতির সময় পিছিয়েছে অধিকাংশ ফুটবল দল। এমনকি প্রভাব পড়েছে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে। ইতিমধ্যেই সেই ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে একাধিক দল। যাদের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি থেকে শুরু করে এফসি গোয়া, চেন্নাইয়িন এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স।
প্রায় একই পরিস্থিতি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের (NorthEast United FC)। গত মরসুমে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলকে পরাজিত করে ঐতিহ্যবাহী এই ফুটবল টুর্নামেন্ট জয় করেছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। পরবর্তীতে সর্বভারতীয় অন্যান্য টুর্নামেন্ট গুলিতে ও যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছিল হুয়ান পেদ্রো বেনালির ছেলেরা। আসন্ন সিজনে ও এমন পারফরম্যান্স বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে এই নতুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি শুরু করতে পারে এই দল।
সেক্ষেত্রে আগামী ১৩ই জুলাই থেকেই মাঠে দেখা যেতে পারে ফুটবলারদের। মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে ফুটবলারদের অনুশীলনের জন্য গুয়াহাটি স্টেডিয়ামকেই বেছে নিতে চলেছে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। যদিও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয় এই বিষয়টি।