গত কলকাতা লিগের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC)। ময়দানের একের পর এক শক্তিশালী দল গুলির বিপক্ষে সহজেই এসেছিল জয়। সেজন্য, ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে ছিল এই ফুটবল ক্লাব। পরবর্তীতে সেই ছন্দ ছিল তৃতীয় ডিভিশন আইলিগে। দাপুটে পারফরম্যান্স রেখে সেই সুবাদে দ্বিতীয় ডিভিশন আইলিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল কিবু ভিকুনার ছেলেরা। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় পাওনা ছিল সকলের কাছে। পরবর্তীতে সেই ধারা বজায় রেখেই এসেছিল সাফল্য। তারপর দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে চূড়ান্ত সাফল্য আসায় খুশির আমেজ লক্ষ্য করা গিয়েছিল সকলের মধ্যে।
যারফলে এবার নয়া ফুটবল মরসুমে দেশের দ্বিতীয় স্তরের সর্বভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট তথা প্রথম ডিভিশন আইলিগ খেলতে নামবে কিবু ভিকুনার ছেলেরা।এক কথায় যা বিরাট বড় পাওনা বঙ্গীয় ফুটবল প্রেমীদের। দেশের প্রথম ডিভিশন লিগের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডিভিশন লিগে ও থাকল বাংলার ফুটবল দল। এক কথায় বলতে গেলে বাংলার ফুটবলে যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় পাওনা। তবে এই হেভিওয়েট টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই দল গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে শোনা যাচ্ছিল একাধিক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারের নাম।
বিগত কয়েক সপ্তাহে সেইমতো বেশ কিছু ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করেছে ডায়মন্ড হারবার। বলতে গেলে আগের থেকে এবার আরও শক্তিশালী ফুটবল দল নিয়েই টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে মরিয়া কলকাতার এই ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে দলের আপফ্রন্টের পাশাপাশি রক্ষণভাগ এবং তিন কাঠি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি নজর দিচ্ছে ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে খবর এবার কলকাতার এই ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন মনিপুরের এই সেন্টার ব্যাক। তিনি উংঙ্গায়াম মুইরাং।
পূর্বে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর ছাব্বিশের এই ডিফেন্ডার। পরবর্তীতে অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি ম্যানেজমেন্ট। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তাঁকে দলে টানতে চাইছে প্রথমবারের মতো আইলিগে অংশগ্রহণকারী এই ফুটবল দল।