ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়েই গত মরসুম শেষ করেছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC)। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে একটা সময় পিছিয়ে থাকতে হলেও পরবর্তীতে ঠিক সমতায় ফিরেছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করেছিল পাহাড়ের এই দল। যারফলে প্রথম ট্রফি জয় করেছিল জন আব্রাহামের ক্লাব। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি ছিল সমর্থকরা। পরবর্তীতে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে ও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছিল বেনালির ছেলেরা। সেক্ষেত্রে প্রথমেই তাঁরা পরাজিত করেছিল কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। সেটা নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যুক্ত করেছিল দলের ফুটবলারদের মধ্যে। পরবর্তীতে ও বজায় ছিল সেই ছন্দ।
যারফলে টুর্নামেন্টের প্রথম ছয়ের মধ্যে স্থান করে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তাঁদের পক্ষে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে আটকে যেতে হলেও সেখান থেকে অনায়াসেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। তবুও দলের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল সমর্থকদের। সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্ট তথা কলিঙ্গ সুপার কাপে জয় দিয়ে শুরু করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। যারফলে আবার নতুন করে খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল খালিদ জামিলের সেই জামশেদপুর এফসি।
আইএসএলের পরাজয়ের বদলা নেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। পুরনো সমস্ত কিছু ভুলে অনেক আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। নতুন ফুটবলার চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বেশকিছু তারকার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। গত কয়েকদিনে সেই মতো দলের একাধিক ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তিবৃদ্ধি করেছে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের এই দল। কিন্তু শুধুমাত্র খেলোয়ার নয়। দলের আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রগুলিতেও যথেষ্ট জোর দিচ্ছে ম্যানেজমেন্ট। সেজন্য এবার দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নৌসাদ মুসার সঙ্গে এবার চুক্তি বৃদ্ধি করল নর্থইস্ট।
যারফলে ভারতের অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবল দলের পাশাপাশি এই ক্লাবের ও দায়িত্বে থাকবেন তিনি। চুক্তি বাড়ানোর প্রসঙ্গে মুসা বলেন, ” আরো দুই বছর এই ক্লাবে থাকাটা আমার কাছে অনেক অর্থবহ৷ এই জায়গাটি আমার কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো হয়ে উঠেছে। এখানকার মানুষ, সমর্থক, কর্মী, সকলেই পরিবারের মতো।ফুটবলের চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, এবং আমি এটির অংশ হতে পেরে কৃতজ্ঞ।”