পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ভারতের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন (Petrol diesel price) জীবনযাত্রার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। আজকের দিনে, যেখানে দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত পুরো দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে, সেখানেই ইন্ধনের দাম সাধারণ মানুষের খরচের বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। (Petrol diesel price) প্রতিদিন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ঘোষণা করা হয় সকাল ৬টায়, এবং সেই মুহূর্তে সবাই অপেক্ষা করে থাকে নতুন দাম জানার জন্য। এটা যেন এক ধরনের অস্থিরতার সময়, যেখানে সাধারণ মানুষের পকেটের উপর একটি বড় চাপ চলে আসে।(Petrol diesel price)
দেশের বিভিন্ন শহরে, বিশেষ করে মুম্বই, পুনে, নাগপুর, নাসিক,(Petrol diesel price) এবং জলগাঁওয়ের মতো শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটা আলাদা। এই শহরগুলিতে, যেহেতু ভৌগোলিক অবস্থান এবং স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা ভিন্ন, তাই এখানে দামেও ভিন্নতা দেখা যায়। গতকালের আপডেট অনুসারে, মুম্বইতে পেট্রোলের দাম ছিল ১০৩.৫০ এবং ডিজেলের দাম ছিল ৯০.০৩। অন্যদিকে পুনেতে পেট্রোলের দাম ১০৪.৫৭ এবং ডিজেলের দাম ৯১.০৮ ছিল। নাগপুরে পেট্রোলের দাম ১০৪.২০ এবং ডিজেলের দাম ৯০.৭৬ ছিল। এই দামের পার্থক্য শহরের বিভিন্ন এলাকা, পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত।(Petrol diesel price)
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণ(Petrol diesel price)
পেট্রোল ও ডিজেলের দামে ওঠানামা মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পরিবর্তনের কারণে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারত তেল আমদানি করে, এবং যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পায়, তখন তা ভারতের বাজারেও প্রভাব ফেলে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ কর এবং অন্যান্য পণ্যগুলির দামও এই দামের সঙ্গে যুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক তেলের দাম বাড়ার কারণে ভারতের বাজারেও একইভাবে দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্ধারিত কর এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন রাজস্ব আদায়ও এই দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে(Petrol diesel price)
দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব(Petrol diesel price)
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়লে সরাসরি তার প্রভাব পড়ে সাধারণ(Petrol diesel price) মানুষের জীবনযাত্রার উপর। প্রথমত, ভ্রমণ খরচ বাড়ে। ব্যক্তিগত গাড়ি বা অটোতে চলা অনেকেরই মাসিক খরচ বেড়ে যায়। যেসব এলাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি, তাদের পক্ষে তেলমূলক খরচ বহন করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। যাত্রী পরিবহন, মালামাল পরিবহণ এবং কৃষি ক্ষেত্রেও ইন্ধন খরচের বৃদ্ধি প্রভাব ফেলে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও, যেখানে ইন্ধনের উপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি, সেখানে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়লে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।(Petrol diesel price)
এছাড়া, পণ্য পরিবহণ খরচও বাড়ে, যার ফলে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। যাতায়াতের খরচ বাড়লে, শহরের মানুষের কাছে দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার অজুহাত তৈরি হয়, যার প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়ে। বাড়ির অন্যান্য খরচও এই কারণে বৃদ্ধি পায়, কারণ বেশিরভাগ পণ্য পরিবহন খরচের ওপর নির্ভরশীল।(Petrol diesel price)
সরকার ও বিকল্প পদ্ধত(Petrol diesel price)
সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে একটি বড় ভূমিকা পালন করে, তবে তাদের উপরও অনেক চাপ থাকে। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও, বৈশ্বিক পরিস্থিতি সরকারের সিদ্ধান্তকে সীমাবদ্ধ করে। সরকার একাধিকবার তেলের দামে শুল্ক কমানোর চেষ্টা করেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য, এখনও কোনও স্থায়ী সমাধান বের করা সম্ভব হয়নি(Petrol diesel price)
বর্তমানে, ভারত সরকারের তরফে বিকল্প শক্তির উৎসের প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। সোলার এনার্জি, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে দীর্ঘমেয়াদে তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হতে পারে।
দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ মানুষের ভূমিকা(Petrol diesel price)
অবশ্য, দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার না করে, যেখানে সম্ভব সেখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্ধনের খরচ কমানো যেতে পারে। তাছাড়া, বৈদ্যুতিক গাড়ি বা সোলার প্যানেলের মতো বিকল্প শক্তির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা হলে, পেট্রোল-ডিজেলের ওপর চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব।(Petrol diesel price)