ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা তৈরী হয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF) (Wenger)। গত ২৩ জুন, ২০২৫-এ মিয়ামিতে অনুষ্ঠিত ফিফা এক্সিকিউটিভ ফুটবল সামিটে এআইএফএফ সভাপতি শ্রী কল্যাণ চৌবে এবং সহ-সভাপতি শ্রী এন.এ. হারিস ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান আরসেন ওয়েঙ্গার এবং তাঁর ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিম (TDS) দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এই বৈঠকে শ্রী চৌবে ভুবনেশ্বরে (Wenger)অবস্থিত প্রথম এআইএফএফ-ফিফা টিডিএস অ্যাকাডেমির অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়রা, যাদের গড় বয়স ১৩.৮ বছর, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একত্রিত হয়েছিল এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এআইএফএফ অনূর্ধ্ব-১৭ এলিট ইয়ুথ লিগে ১০টি ম্যাচ খেলে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে।
ফিফা টিডিএস-এর প্রযুক্তিগত সহায়তা, বিশেষ করে ভারতে কোচ পাঠানোর উদ্যোগ, এআইএফএফ-এর কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া, ফিফার সহযোগিতায় ভারতে দ্বিতীয় এআইএফএফ-ফিফা টিডিএস অ্যাকাডেমি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই বৈঠকের বিশদ বিবরণ, অ্যাকাডেমির অগ্রগতি এবং ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করব।
বৈঠকের পটভূমি
এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে এবং সহ-সভাপতি এন.এ. হারিস মিয়ামিতে ফিফা এক্সিকিউটিভ ফুটবল সামিটে আরসেন ওয়েঙ্গারের (Wenger) সঙ্গে সাক্ষাতে ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। এই বৈঠকে ভুবনেশ্বরে ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত প্রথম এআইএফএফ-ফিফা ট্যালেন্ট অ্যাকাডেমির অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
ওড়িশা সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই অ্যাকাডেমি চালু হয়েছিল, যেখানে ফিফার প্রধান আরসেন ওয়েঙ্গার উপস্থিত ছিলেন। এই অ্যাকাডেমি ফিফার ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিম (টিডিএস)-এর অংশ হিসেবে তরুণ ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ এবং বিকাশের জন্য কাজ করছে।
কল্যাণ চৌবে জানান, অ্যাকাডেমির প্রথম ব্যাচে ৫০ জন তরুণ ফুটবলারকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যাদের গড় বয়স ১৩.৮ বছর। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই খেলোয়াড়রা একত্রিত হয় এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এআইএফএফ অনূর্ধ্ব-১৭ এলিট ইয়ুথ লিগে অংশ নিয়ে ১০টি ম্যাচ খেলে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে(Wenger)। এই পারফরম্যান্স তাদের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেয়, যা ভারতীয় ফুটবলের তরুণ প্রতিভাদের সম্ভাবনার প্রমাণ।
ফিফা টিডিএস-এর প্রযুক্তিগত সহায়তা
ফিফার ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিম ভারতীয় ফুটবলের প্রতিভা সনাক্তকরণ এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফিফা ভারতে কোচ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণের মান উন্নত করছে, যা এআইএফএফ অত্যন্ত প্রশংসা করেছে। আরসেন ওয়েঙ্গার, (Wenger) যিনি ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান হিসেবে কাজ করছেন, তিনি ভারতের ফুটবল প্রতিভাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, “ভারতের ১.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যা ফুটবলের জন্য বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করে। তবে, তরুণদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব।”
দ্বিতীয় অ্যাকাডেমির পরিকল্পনা
বৈঠকে কল্যাণ চৌবে ভারতে দ্বিতীয় এআইএফএফ-ফিফা টিডিএস অ্যাকাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন (Wenger)। তিনি জানান, ভারতের মতো বিশাল দেশে একটি মাত্র অ্যাকাডেমি যথেষ্ট নয়। এআইএফএফ-এর লক্ষ্য হলো দেশের পাঁচটি ভিন্ন অঞ্চলে পাঁচটি অ্যাকাডেমি স্থাপন করা, যাতে আরও বেশি তরুণ প্রতিভা সুযোগ পায়। এই দ্বিতীয় অ্যাকাডেমির জন্য ফিফার সঙ্গে সহযোগিতা চলছে, এবং এটি ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
Waste-to-Energy উদ্যোগে সহজ অর্থায়নের সুযোগ, ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
সমাজে প্রভাব
এই বৈঠক এবং ভুবনেশ্বরে প্রথম অ্যাকাডেমির সাফল্য ভারতীয় ফুটবলের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এআইএফএফ-এর ‘ভিশন ২০৪৭’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতকে এশিয়ার শীর্ষ চারটি ফুটবল দেশের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে(Wenger)। এই অ্যাকাডেমিগুলো তরুণ ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সামাজিক মাধ্যমে এই বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে, এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপটে, যেখানে ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা, এই ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় প্রতিভাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্যে ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে কিছু সমালোচনা রয়েছে, যা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মতো সংগঠনগুলোর প্রতিবাদে প্রকাশ পায়।
মিয়ামিতে কল্যাণ চৌবে এবং এন.এ. হারিসের সঙ্গে আরসেন ওয়েঙ্গারের বৈঠক ভারতীয় ফুটবলের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। ভুবনেশ্বরে প্রথম এআইএফএফ-ফিফা টিডিএস অ্যাকাডেমির সাফল্য এবং দ্বিতীয় অ্যাকাডেমির পরিকল্পনা ভারতের তরুণ ফুটবলারদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে(Wenger)। ফিফার প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং এআইএফএফ-এর প্রচেষ্টা ভারতীয় ফুটবলকে বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।