চলন্ত ট্রেন লাইনচ্যুত, অল্পের জন্য রক্ষা পেল শতাধিক প্রাণ

আজ শনিবার ভোরবেলা চিত্তেরি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আরাক্কোনাম-কাটপাডি মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রেন চলাকালীন হঠাৎ বিকট শব্দে চমকে ওঠেন…

চলন্ত ট্রেন লাইনচ্যুত, অল্পের জন্য রক্ষা পেল শতাধিক প্রাণ

আজ শনিবার ভোরবেলা চিত্তেরি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আরাক্কোনাম-কাটপাডি মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রেন চলাকালীন হঠাৎ বিকট শব্দে চমকে ওঠেন যাত্রীরা। সেই মুহূর্তে ট্রেনের লোকো পাইলট যথাসম্ভব দ্রুত ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতেই ঘটে বিপত্তি। ট্রেনটির একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

Read Hindi: चलती ट्रेन पटरी से उतरी, यात्रियों की जान बाल-बाल बची

   

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ওই সময় লাইনের একটি অংশ ভেঙেও যায় বলে সন্দেহ। ফলে রেলের পরিকাঠামো ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রীরা ভয় পেয়ে যান, ট্রেনের ভিতরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকে জানালা ও দরজা দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হননি – এটি বড় স্বস্তির খবর। কিন্তু ওই লাইনে পরিষেবা আপাতত বিঘ্নিত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ চলছে এবং ট্রেনটিকে লাইনে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

Advertisements

এখনও পর্যন্ত রেল সূত্রে জানা যায়নি, কত সময় লাগবে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে। এছাড়াও কোনও ট্রেন বাতিল হয়েছে কি না, তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।

চিত্তেরি স্টেশন আগে থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এখানেই দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১১ জন যাত্রী এবং আহত হন ৭০ জনেরও বেশি। সেই ঘটনার স্মৃতি আজকের এই লাইনচ্যুতির পর আবারও ফিরে এসেছে স্থানীয়দের মনে।

এই ঘটনা ফের একবার রেল ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণ, ট্র্যাক পরীক্ষা ও সতর্কতার বিষয়ে আরও নজর না দিলে, এই ধরনের দুর্ঘটনা ফের ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়। যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে রেল কতটা সজাগ, সেই প্রশ্ন আজ ফের উঠে এসেছে জনমানসে।