“অস্তিত্বগত হুমকির” সম্মুখীন হলে তবেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছেন।
পেসকভ বলেন, “আমাদের গার্হস্থ্য নিরাপত্তার একটি ধারণা আছে। এটি সর্বজনীন। আপনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সমস্ত কারণ পড়তে পারেন। সুতরাং যদি আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তবেই আমাদের ধারণা অনুসারে এর ব্যবহার করা যেতে পারে।” এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত যে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পারমাণবিক বিকল্প ব্যবহার করবেন না? তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিমলিন মুখপাত্র এই কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেন আক্রমণ করার কয়েকদিন পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি দেশের কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রেখেছেন। এর ফলে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পেসকভের বিবৃতির পর রাশিয়ার পারমাণবিক অবস্থান আরও বিস্তৃতভাবে জানতে চাইলে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে মস্কোর বক্তব্যকে “বিপজ্জনক” বলে অভিহিত করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তির এভাবে কাজ করা উচিত তা নয়।”
রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক ওয়ারহেডের মালিক। পশ্চিমের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন যে পুতিনের ফেব্রুয়ারির ঘোষণার পর তারা রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীর কোনও গতিবিধি দেখেননি৷ তবে মস্কো সতর্ক করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো যদি ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে এটি যুদ্ধকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে রাশিয়া পশ্চিমের পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে সরাসরি মুখোমুখি হতে পারে।