বীরভূমের ররামপুরহাটের বকটুই গ্রামের গণহত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। এহেন ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে রামপুরহাটে। খাঁ খাঁ করছে গোটা গ্রাম। ইতিমধ্যে আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন একাধিক মানুষ। এরই মাঝে বগটুই গ্রামে পৌঁছালেন বামেদের প্রতিনিধি দল।
এই হত্যালীলার প্রমান নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘যখন খুন হচ্ছিল তখন পুলিশ পাশেই ছিল। সেই পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে কী করে? আমাদের রাজ্যে তথ্য নষ্ট করার অধিকার একমাত্র সিটের আছে। সেজন্য সিট গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার কালো টাকার জন্য সিট গঠন করেছিল।’
কীর্ণাহার, রামপুরহাট, সিউড়ি, বোলপুর সহ বীরভূমের সর্বত্র সিপিআইএমের প্রতিবাদ চলছে।
মঙ্গলবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলে দশ জনকে পুড়িয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
রাতেই বাম প্রতিনিধিরা বীরভূমে আসেন। সকালে বগটুই গ্রামে যান সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
উল্লেখ্য, বাম জমানায় বীরভূমে পরপর রাজনৈতিক সংঘর্ষে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় হলো গণহত্যা।
তবে রাজ্য সরকার এই ঘটনাকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেছে।
এদিকে বিরোধী দল বিজেপি রাষ্ট্রপতি রাজ্যে শাসনের দাবি তুলে কলকাতায় বিক্ষোভ করেছে। তবে তাদের প্রতিনিধিরা বগটুই যাওয়া আপাতত এড়িয়ে গেছেন।
বীরভূমের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, বালি ও পাথর খাদানের বখরা নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূল কংগ্রেস গণহত্যা চালিয়েছে।