‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ বিতরণে ইনকাম ট্যাক্সের নোটিশ, পদ্মের নতুন চ্যালেঞ্জ! সাড়া পড়ল রাজনৈতিক মহলে!

বিগত কয়েক বছরে ভারতের রাজনৈতিক দৃশ্যে একাধিক (Abhishek Banerjee) বিতর্কিত মুহূর্তের জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ প্রকল্প, যা প্রবীণ নাগরিকদের…

Abhishek Banerjee Alleges Income Tax Department Sent Letter Over Old Age Allowance Scheme

বিগত কয়েক বছরে ভারতের রাজনৈতিক দৃশ্যে একাধিক (Abhishek Banerjee) বিতর্কিত মুহূর্তের জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ প্রকল্প, যা প্রবীণ নাগরিকদের বার্ধক্যভাতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু হয়েছিল। (Abhishek Banerjee) তবে এই প্রকল্পের সফলতা অনেকের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত আয়কর দপ্তর যা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই প্রকল্পের জন্য আয়কর দপ্তর তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছে, এবং এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন(Abhishek Banerjee) 

গত বুধবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (Abhishek Banerjee) সাতগাছিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ১১ বছরের সাংসদ হিসেবে কর্মসূচির খতিয়ান তুলে ধরেন। সেই সময় তিনি তাঁর ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ নামক বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানে আয়কর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত দুটি চিঠি জনতার সামনে তুলে ধরেন।(Abhishek Banerjee) এই চিঠি দুটি এসেছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ প্রকল্পের কারণেই। ২০২২-২৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৭৬ হাজার প্রবীণ নাগরিক বার্ধক্যভাতা পেতে শুরু করেন। কিন্তু এই সফল উদ্যোগের জন্য আয়কর দপ্তরের চিঠি আসার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে অভিষেক অভিযোগ করেন।(Abhishek Banerjee) 

অভিষেকের দাবি, “এটা আমার জন্য না, বরং গরিব(Abhishek Banerjee) মানুষের জন্য একটা বড় সাফল্য। কারণ আমি যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছেন, তাদের হাতে সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি কেন এই ৭৬ হাজার প্রবীণ নাগরিককে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়েছি, তার জন্য ইনকাম ট্যাক্স থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেন এই চিঠি দেওয়া হয়েছে? যাতে এই বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এটাই বিজেপির আসল চেহারা।(Abhishek Banerjee) 

   

এখানে যা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে তা হল, রাজনৈতিক(Abhishek Banerjee) বিরোধীরা কেন গরিব মানুষের উন্নয়নে এই ধরনের উদ্যোগের বিরোধিতা করবেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, গেরুয়া শিবিরই এই চিঠির পেছনে রয়েছে, যারা বার্ধক্য ভাতার মতো সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পকে বন্ধ করতে চায়। তিনি দাবি (Abhishek Banerjee) করেছেন যে এই ধরনের চিঠি আসার উদ্দেশ্য একটাই – ‘গরিব মানুষদের কাছে পৌঁছে যাওয়া অর্থের পরিমাণ কমানো’। তবে বিজেপি এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে, এবং তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আয়কর দপ্তর নিজেদের নিয়ম অনুসরণ করেই এই চিঠি পাঠিয়েছে।

(Abhishek Banerjee) এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ প্রকল্পের পরবর্তী পর্বের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা আরও বড় আকারে ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ আরও বেশি সুবিধা পাবেন।” ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্পটি পূর্বে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছিল, যা ইতিমধ্যে বহু মানুষের জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এই ধরনের প্রকল্পে বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদান গরিব মানুষের কাছে সরকারের অনুগ্রহের লক্ষণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

Advertisements

তবে এই বিতর্কের কেন্দ্রে আসছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: রাজনীতির মধ্যে সামাজিক প্রকল্পগুলির ভূমিকা। কোনো রাজনৈতিক দল যখন জনগণের কল্যাণে প্রকল্প চালু করে, তখন সেটি কখনো কখনো দলের প্রতিযোগী দলের জন্য মাথাব্যথা হয়ে ওঠে। এই ধরণের(Abhishek Banerjee) প্রকল্পগুলো বাস্তবিকভাবে জনগণের সুবিধার্থে হলেও, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা তীব্র প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) সমালোচকরা বলছেন যে, এই প্রকল্পগুলো আসলে শুধু ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করার উদ্দেশ্যে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলছে যে, যেহেতু এই প্রকল্পগুলি সরাসরি গরিব মানুষদের জন্য, সেহেতু এগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। বরং, এই প্রকল্পগুলির লক্ষ্য শুধু মানুষকে তাদের প্রাপ্য সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

নিঃসন্দেহে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)  তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি আরও শক্তিশালী করেছেন। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, যে রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রকল্পগুলির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা কি আসলেই জনগণের কল্যাণ চাইছে? নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?