বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে কার ভাগ্যে শিঁকে? সুকান্ত, অগ্নিমিত্রা না শমীক!

বঙ্গ রাজনীতিতে ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বিজেপির নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা। রাজ্য সভাপতির পদে বদল হবে কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অন্দরমহলে। সূত্রের…

bjp announces candidate for by election

ঙ্গ রাজনীতিতে ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বিজেপির নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা। রাজ্য সভাপতির পদে বদল হবে কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অন্দরমহলে। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পদ থেকে সরানো হবে কি না, তা নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা তুঙ্গে।

বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সভাপতির পদে তিনজনের নাম বিবেচনায় রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক এবং বালুরঘাটের সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক তথা সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল এবং রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

   

বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজের উত্তরসূরি হিসাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করেছেন জ্যোতির্ময়ের নাম। তিনি সংগঠনের কাজে দক্ষ এবং সুকান্তের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জোরকদমে চাইছেন অগ্নিমিত্রা পালকে সভাপতি পদে বসাতে। অগ্নিমিত্রার নামও ইতিমধ্যে দিল্লির শীর্ষ নেতাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে এই দুই নাম ছাড়াও আরএসএস তথা সংঘের তরফে সরাসরি যে নামটি জোরালোভাবে উঠে এসেছে, তা হল শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ও বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, শমীক সাংগঠনিক ও প্রচারমূলক দিক দিয়ে বেশ দক্ষ, এবং তাঁর সঙ্গে সংঘের সম্পর্কও অত্যন্ত দৃঢ়। রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতাদের একটি বড় অংশও শমীকের পক্ষেই সায় দিয়েছেন। ফলে, তিনজনের মধ্যে শমীকই আপাতত দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই তিনটি নাম নিয়ে এখন চূড়ান্ত আলোচনা চলছে দিল্লিতে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সংঘের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে এখানেই শেষ নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০২৬ সালের আগে রাজ্যে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা আদৌ যুক্তিযুক্ত হবে কি না, তা নিয়েও দলীয় স্তরে বিভাজন রয়েছে।

Advertisements

দিল্লির একাংশ মনে করছে, এই মুহূর্তে সুকান্ত মজুমদারকে সরালে সংগঠনের ভিত নড়ে যেতে পারে। কারণ, তাঁর নেতৃত্বেই বিগত কয়েক বছরে রাজ্য বিজেপি একাধিক নির্বাচন লড়েছে। ফলে পরবর্তী লোকসভা ভোটের আগে বড়সড় পরিবর্তন এড়িয়ে চলাই শ্রেয় বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখেছে দিল্লি। কারণ, সর্বভারতীয় সভাপতির পদেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরেই রাজ্য নেতৃত্বে রদবদল করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে ইঙ্গিত।

এই পরিস্থিতিতে জুনের শেষে বা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই অনিশ্চয়তা কেটে যেতে পারে বলে খবর। তখনই জানা যাবে, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারই থাকছেন, নাকি নতুন নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের হাল। আপাতত বঙ্গ রাজনীতির মূল প্রশ্ন—কে হচ্ছেন পরবর্তী রাজ্য বিজেপি সভাপতি?