ঢাকা: গত বছরের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন৷ ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের ঢেউয়ে গদিচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সেই উপলক্ষ যেন নতুন করে ফিরে এল৷ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হচ্ছে৷
ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকি জানান, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন আলোচনা, কালচারাল ইভেন্ট ও তাঁবু-শিবিরের আয়োজন থাকবে, আর ১৪ জুলাই থেকে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। তিনি বলেছিলেন, “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐক্য ও সংগঠিত চেতনার স্মৃতি ধরে রাখতেই এই কর্মসূচি…”
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্টের তাৎপর্য
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক নতুন এক অধ্যায়। ছাত্র-জনতার নারকীয় প্রতিবাদে দেশজুড়ে সংহতি গড়ে ওঠে। একদিনে রাজধানী ঢাকা যেন এক পরিবর্তনের উত্তেজনায় কেঁপে ওঠে। ইতিহাসে এটিকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ বা ‘গণতান্ত্রিক দ্বিতীয় বিপ্লব’ হিসেবে স্মরণ করা হয় ।
কর্মী-ছাত্র-জনতা অনড় আন্দোলনের অন্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন, আর মহম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেন দায়িত্ব গ্রহণের জ্যন৷ হেভিওয়েট রাজনৈতিক সংকটের মাঝে দেশের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ইউনূস।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর স্মৃতি National Holiday on 5th August
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকি জানান, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে ১ জুলাই থেকে শুরু হবে বিশেষ কর্মসূচি, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। আন্দোলনের আবহে শুরু হলেও, ১৪ জুলাই থেকে মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা পর্ব শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ফারুকির ভাষায়, “গত বছর সারা দেশের ছাত্র-জনতা, কর্মজীবী মানুষ, শিল্পী থেকে লেখক যেভাবে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছিল, সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করতেই এই কর্মসূচি।” বিশেষত ৫ আগস্ট, যেদিন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, সেই দিনটি এবার থেকে ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হবে এবং দিনটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
