বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলা, চার জেলায় প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা

মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টির দাপট। রাতভর টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর বুধবার সকালেও রাজ্যের…

West Bengal Monsoon

মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টির দাপট। রাতভর টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর বুধবার সকালেও রাজ্যের নানা প্রান্তে চলছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। বর্ষা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর ঘনীভূত হয়েছে একটি নিম্নচাপ, যার জেরে রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে বৃষ্টির সতর্কতা।

২৩ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত। বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। এইসব জেলায় প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস।

   

বৃষ্টি উত্তরেও West Bengal Monsoon

বৃষ্টি শুধু দক্ষিণবঙ্গেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর সহ একাধিক জেলাতেও আগামী কয়েকদিন ধরে চলবে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত। দমকা হাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।

বৃষ্টির পাশাপাশি শহরবাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তির খবরও আছে। বর্ষা প্রবেশের ফলে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও বেশ বেশি – সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ এবং ন্যূনতম ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠতে পারে। যদিও এই আর্দ্রতার কারণে গুমোট ভাব থেকে এখনও পুরো স্বস্তি মিলছে না, তবে প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে আপাতত রেহাই মিলেছে রাজ্যবাসীর।

Advertisements

তাপমাত্রার হেরফের হবে না

আগামী পাঁচ দিন রাজ্যের তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ আগামী কয়েকদিন ধরে চলবে বৃষ্টির সঙ্গে ঠান্ডা-আর্দ্র আবহাওয়া।

আবহাওয়া দফতর নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যারা বাইরে বেরোচ্ছেন, তাদের ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জল জমা এলাকায় যান চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের কথাও বলা হয়েছে।

বর্ষা যে এবার একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে, তা স্পষ্ট। এখন দেখার, পরবর্তী দিনগুলিতে এই নিম্নচাপ কতটা প্রভাব ফেলে রাজ্যের উপর।