নাগরাকাটা, জলপাইগুড়ি: রাজ্য সরকারের ‘আদমি’ প্রকল্পের (Admi Scheme) আওতায় কৃষকদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে ও চাষের পরিধি বাড়াতে নেওয়া হল এক নতুন পদক্ষেপ। জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে চালু করা হলো তিনটি সৌরচালিত টিউবওয়েল। প্রতিটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮,৮০,০০০ টাকা করে। মোট ২৬,৪০,০০০ টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে নাগরাকাটা ব্লকের আংড়াভাষা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমপাড়া বনবস্তি এলাকায়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকেরা যে জমিতে এতদিন এক ফসলি চাষ করতেন, সেখানে এবার তিন ফসলি চাষ করার সুযোগ পাবেন। দীর্ঘদিন ধরে জলের অভাবে জমির সঠিক ব্যবহার করতে পারছিলেন না এলাকার কৃষকরা। যদিও জমির গুণমান তিন ফসলের উপযোগী, তবুও সেচ ব্যবস্থার অভাবে উৎপাদন ছিল সীমিত। তাই তারা নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির দ্বারস্থ হন।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে জানান হয়, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই উচ্চতর মহলে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় রাজ্য সরকারের ‘আদমি’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থার সূচনা করা হয়।
উদ্বোধনের দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ছিল উৎসাহ ও আনন্দ। গ্রামের কৃষক লক্ষ্মণ ওরাও বলেন, “জলের অভাবে অনেক সময় মাঠ ফেলে রাখতে হতো। এখন এই সৌরচালিত টিউবওয়েল থাকলে আমরা বছরে তিনবার চাষ করতে পারব। ধান, আলু, এবং সবজি—সব কিছুর চাষই হবে।”
এই উন্নয়নের ফলে শুধুমাত্র ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না, একইসঙ্গে আর্থিক দিক থেকেও কৃষকেরা স্বনির্ভর হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সৌরশক্তি নির্ভর এই প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধবও বটে।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি গ্রামে এই ধরনের সৌরচালিত সেচ প্রকল্প চালু করা হবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ কৃষিক্ষেত্রে এক ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেই বিশ্বাস স্থানীয়দের।