সূর্যোদয়ের দেশ জাপান (Japan) প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক উন্নত। আর সেই দেশের পক্ষ থেকেই ভারতের (India) মাটিতে আসতে চলেছে বিপুল বিনিয়োগ (investment)। যা বদলে দিতে পারে ভারতের অর্থনীতি এবং সামাজিক ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে লাভবান হবে জাপানও। সব মিলিয়ে আগামী অয়াচ বছরে আন্তর্জাতিক কূটনীতির নয়া সমীকরণ লিখতে চলেছে ভারত এবং জাপান।
শনিবার হোলির দিনে ভারত সফরে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা। দেখা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। বেশ কিছু সময় একন্তে বৈঠক হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। তারপরেই প্রকাশ্যে সাক্ষাতের বিষয়টি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, “জাপান আগামি পাঁচ বছরে ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা বা ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন(জাপানি মূদ্রা) ভারতের মাটিতে বিনিয়োগ করবে।”
যদিও এই খবর অনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল জাপানের সংবাদপত্রে। ওই দেশের বাণিজ্য মহলে বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। তবে সেই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অঙ্ক একটু কম ছিল। কিন্তু মোদীর ঘোষণায় অনেকটাই চওড়া হয়েছে সেই ব্যবসায়ীদের হাসি। সেই সঙ্গে জাপানের সংবাদ মাধ্যমে আরও একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ইয়েন ঋণে সম্মত হতে চলেছেন৷ এছাড়াও, কার্বন হ্রাস সংক্রান্ত একটি শক্তি সহযোগিতা নথি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জলয়ায়ু পরিবর্তন বা শক্তি বিষয়ে নানাবিধ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন ফুমিও কিসিদা। কিন্তু ঋণের বিষয়ে এখনও কিছু প্রকাশ্যে আসেনি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “অনেক ঝামেলার কারণে সারা বিশ্ব আজ কাঁপছে, ভারত ও জাপানের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের মতামত প্রকাশ করেছি, ইউক্রেনে রাশিয়ার গুরুতর আক্রমণ সম্পর্কে কথা বলেছি। আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আমাদের উভয় দেশের উচিত একটি উন্মুক্ত ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা। জাপান, ভারতের সাথে, যুদ্ধের অবসানের চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং ইউক্রেন ও তার প্রতিবেশী দেশগুলিকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।”