১৪ মাস পর করোনায় ফের মৃত্যু চিনে

সম্প্রতি চিন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগজনকভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই হংকংয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াতে দৈনিক সংক্রমণ…

১৪ মাস পর করোনায় ফের মৃত্যু চিনে

সম্প্রতি চিন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগজনকভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই হংকংয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াতে দৈনিক সংক্রমণ ৬ লক্ষেরও বেশি। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এটাই রেকর্ড। অন্যদিকে হংকংয়ে শুধু রেকর্ড পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তা নয়, মৃত্যুর ছবিটাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিভিন্ন শহরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন সব দেশেই করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপট দেখা যাচ্ছে।

Advertisements

ঘটনার জেরে হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে ফিরেছে এক বছর আগের স্মৃতি। বেশিরভাগ হাসপাতালেই বেড নেই। অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। এমনকী, মর্গে মরদেহ রাখার মত জায়গা মিলছে না। বাধ্য হয়ে দুই দেশেই শিপিং কন্টেনারে মরদেহ রাখতে হচ্ছে। তবে হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সম্প্রতি কোভিডে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই টিকা নেননি এবং সকলেই বয়স্ক মানুষ। সম্প্রতি গোটা বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষে যত জন মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন সেই সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি হংকংয়ে। অন্যদিকে স্বস্তিতে নেই চিন।

   

শনিবার চিনে করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ মাস পর চিনে নতুন করে করোনায় মৃত্যু হল। শনিবার চিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২২০০ মানুষ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই জিলিন প্রদেশের বাসিন্দা। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় চিনের একাধিক শহরে ফের লকডাউন জারি করা হয়েছে।

Advertisements

অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে সব দেশকে আরও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে। একই সঙ্গে হু জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপেও সংক্রমণ বাড়াতে পারে। কারণ ইউক্রেন থেকে দলে দলে শরণার্থীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এই সমস্ত শরণার্থীদের বেশিরভাগেরই টিকাকরণ হয়নি। কারণ ইউক্রেনে টিকাকরণের হার খুব একটা উল্লেখজনক নয়। তাই টিকা না নেওয়া আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।