ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজের নতুন নাম আন্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি

ইংল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এখন নতুন নামে পরিচিত হবে— আন্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি (Anderson-Tendulkar Trophy)। এই নামকরণের মাধ্যমে ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি, সচিন…

Anderson-Tendulkar Trophy

ইংল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এখন নতুন নামে পরিচিত হবে— আন্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি (Anderson-Tendulkar Trophy)। এই নামকরণের মাধ্যমে ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি, সচিন তেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে। এর আগে এই সিরিজটি পতৌদি ট্রফি নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৩০ এবং ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ড ও ভারত উভয় দলের প্রতিনিধিত্বকারী ইফতিখার আলি খান পতৌদির নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তাঁর পুত্র মনসুর আলি খান পতৌদি ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে ভারতের ৪০টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন এবং তিনি দেশের অন্যতম আইকনিক নেতা হিসেবে বিবেচিত হন। নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া হয়েছে। পতৌদি পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

২০ জুন লিডসের হেডিংলিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচের আগে নতুন আন্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হবে । এই ট্রফির নামকরণ ভারতীয় কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর এবং ইংল্যান্ডের পেস বোলিং মায়েস্ত্রো জেমস অ্যান্ডারসনের নামে করা হয়েছে, যাঁরা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দুই ব্যক্তিত্ব। তেন্ডুলকর, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২০০টি টেস্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে ১৫,৯২১ রান সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে, অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এবং টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল ফাস্ট বোলার, যিনি ৭০৪টি উইকেট নিয়েছেন।

   

আকর্ষণীয় বিষয় হল, তেন্ডুলকর এবং অ্যান্ডারসন ১৪টি টেস্ট ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। এই সময়ে অ্যান্ডারসন তেন্দুলকরকে ৯ বার আউট করেছেন, যা অন্য যেকোনো বোলারের তুলনায় সর্বাধিক। এই দুই কিংবদন্তির মধ্যে মাঠের লড়াই ক্রিকেট ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।

Advertisements

২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ড দলের বোলিং পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি এক বছরের জন্য তার কাউন্টি চুক্তি বাড়িয়েছেন। তেন্ডুলকর, অবসরের পর থেকে ক্রিকেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছেন এবং বিশ্বব্যাপী তাঁর ভক্তদের কাছে একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছেন।

ইংল্যান্ড বর্তমানে পতৌদি ট্রফির শেষ বিজয়ী। ২০২১ এবং ২০২২ সালে কোভিড-জনিত কারণে স্থগিত হওয়া সিরিজটি ২-২ ড্র হয়েছিল। এই নতুন নামকরণের মাধ্যমে, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি বর্তমান যুগের দুই মহান ক্রিকেটারের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে।