তৃণমূল মুখপাত্রদের রোজনামচা নিয়ে কটাক্ষ বঙ্গ বিজেপির

ফের রাজনৈতিক উত্তাপ পশ্চিমবঙ্গে। এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মুখপাত্রদের রোজকার কার্যকলাপ নিয়ে কটাক্ষ করল বঙ্গ বিজেপি(BJP)। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এক্স (প্রাক্তন…

BJP Mocks TMC Spokespersons’ “Daily Routine” on Social Media Amid Political Tensions in Bengal

ফের রাজনৈতিক উত্তাপ পশ্চিমবঙ্গে। এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মুখপাত্রদের রোজকার কার্যকলাপ নিয়ে কটাক্ষ করল বঙ্গ বিজেপি(BJP)। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে একটি কটাক্ষাত্মক তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূলের মুখপাত্রদের ‘দৈনন্দিন রুটিন’ ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তুলে ধরা হয়।

পোস্টটিতে লেখা হয়েছে:
“TMC Spokesperson’s Daily Routine:
☀️ ঘুম থেকে ওঠা
📰 উত্তরপ্রদেশের খবর পড়া (পশ্চিমবঙ্গের খবর উপেক্ষা)
📢 ছোট্ট ঘটনা নিয়ে হাইপ তোলা
😡 গুজরাট ও গুজরাতিদের গালাগালি
👉 বিজেপি, আদালত, নির্বাচন কমিশন, বিএসএফ, সিবিআই—সকলকে দোষারোপ
🛡️ নারী নির্যাতন বা ধর্ষণে অভিযুক্তদের রক্ষা, প্রাইম টাইমে তাদের সাফাই
🕋 ‘বিশেষ সম্প্রদায়’-কে রক্ষা
💰 প্রতিদিনের তোলাবাজি কোটা সংগ্রহ
🙌 ভাইপোকে নিঃশর্ত প্রশংসা
🍻 পানীয় নিয়ে দিন শেষ
😴 ‘গণতন্ত্রের রক্ষক’ সেজে ঘুম”

   

বিজেপির এই পোস্টে স্পষ্টভাবেই তৃণমূলের মুখপাত্রদের ‘তামাশা’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পোস্টে কুণাল ঘোষ, সাকেত গোখলেদেরই ইঙ্গিতে কটাক্ষ করা হয়েছে। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, “কেউ সাংবাদিকতা বিক্রি করে সাংসদ হয়েছে, কেউ সমাজকর্ম বিক্রি করে সাংসদ পদ পেয়েছে।”

Advertisements

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর রাজ্যে বিজেপির হতাশাজনক ফল এবং কেন্দ্র-বিরোধী মনোভাব উসকে দিয়ে বাংলায় ফের জমি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। এই ধরণের কটাক্ষের মাধ্যমে তারা তৃণমূলের প্রতি বিরূপ মনোভাব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
রাজনৈতিক মহলে মত, এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল এখন দুই প্রধান দলের মধ্যে প্রচলিত অস্ত্র হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন বিজেপি এভাবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে, অন্যদিকে তৃণমূলও মাঝে মধ্যেই মোদী, শাহ, এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও ও পোস্ট করছে।

ফলে বাংলার রাজনীতি এখন কেবল নীতিনির্ধারণ নয়, ন্যারেটিভ যুদ্ধের ময়দানেও রূপ নিচ্ছে। এই কটাক্ষ আর পাল্টা-কটাক্ষের মধ্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি কোথাও যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে—এমন মতও উঠে আসছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।