জগন্নাথ মন্দিরের গোপন ভিডিও ঘিরে তোলপাড়,নিরাপত্তা ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ, চাপে প্রশাসন

পুরীর জগন্নাথ মন্দির—(Puri JagannathTemple) যেখানে প্রতিদিন শত শত ভক্তের (Puri Jagannath Temple) আগমন ঘটে, যেখানে শতাব্দীপ্রাচীন রীতিনীতি ও আচার মেনে চলে নিরন্তর পূজা-পার্বণ—সেই মন্দিরের (Puri…

Viral Videos of Puri Jagannath Temple Spark Uproar; Investigation Underway

পুরীর জগন্নাথ মন্দির—(Puri JagannathTemple) যেখানে প্রতিদিন শত শত ভক্তের (Puri Jagannath Temple) আগমন ঘটে, যেখানে শতাব্দীপ্রাচীন রীতিনীতি ও আচার মেনে চলে নিরন্তর পূজা-পার্বণ—সেই মন্দিরের (Puri JagannathTemple) অন্তরালের গোপন দৃশ্য যদি হঠাৎ করে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, তাহলে তা নিয়ে তোলপাড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি এমনই এক বিতর্ক ঘিরে উত্তাল হয়েছে ওড়িশার রাজনীতি থেকে শুরু করে মন্দির প্রশাসন পর্যন্ত(Puri JagannathTemple) 

ঘটনার সূত্রপাত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া(Puri JagannathTemple) কয়েকটি ভিডিও ঘিরে। সেসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা বদলানোর মুহূর্ত। এই ধ্বজা(Puri JagannathTemple) পরিবর্তনের আচার অত্যন্ত গোপনীয়তা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়। দিনের পর দিন একইভাবে এই পবিত্র কাজ চালিয়ে যান মন্দিরের নির্ধারিত সেবায়েতরা। এই পদ্ধতির কোনও ছবি বা ভিডিও নেওয়া(Puri JagannathTemple) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এমনকি পুরীর মন্দিরের আশেপাশে ড্রোন উড়ানোও আইনত নিষিদ্ধ(Puri JagannathTemple) 

   

তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করে, কীভাবে এই ভিডিও ভাইরাল হল সোশাল মিডিয়ায়? কারা এই ভিডিও তুলল? কারাই বা তা ছড়াল? এই প্রশ্ন ঘিরেই এখন শুরু হয়েছে চাঞ্চল্যকর তদন্ত।(Puri JagannathTemple) 

তদন্তে নেমে পুলিশ ও গোয়েন্দারা প্রথমেই নজরে আনেন (Puri JagannathTemple) ‘বাঙালি’ নামধারী একটি ফেসবুক প্রোফাইলকে। সেখান থেকেই ওই ভিডিওগুলি আপলোড হয়েছে (Puri JagannathTemple) বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ। তবে এই প্রোফাইলের পেছনে থাকা ব্যক্তির আসল(Puri JagannathTemple) পরিচয় কী, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্তে উঠে এসেছে এক ব্যক্তি—সুরজিৎ বিশ্বাস—এর নাম। তিনি কি প্রকৃতপক্ষে এই প্রোফাইলের ব্যবহারকারী? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই মরিয়া তদন্তকারী সংস্থা।(Puri JagannathTemple) 

ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে, মন্দিরের চূড়ার দৃশ্য ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হয়েছে। অথচ, মন্দির এলাকা ড্রোন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বহু আগেই। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই আকাশে ড্রোন ওড়ানো যায় না। তাহলে কীভাবে এই ড্রোন ব্যবহার সম্ভব হল?(Puri JagannathTemple) 

এই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে এক নতুন সন্দেহ—মন্দিরের(Puri JagannathTemple) ভিতরের কোনও কর্মী বা সেবায়েত কি এই ফাঁসের ঘটনায় জড়িত? তদন্তকারী সংস্থা এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না।(Puri JagannathTemple) যদি মন্দিরের কোনও অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে তা শুধু নিয়ম ভঙ্গ নয়, বরং বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলেই মনে করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ(Puri JagannathTemple) 

Advertisements

ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “যদি প্রমাণ হয় যে মন্দিরের কোনও সেবায়েত বা কর্মী এই গোপন ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় যুক্ত, তবে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। মন্দিরের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা ভাঙা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।(Puri JagannathTemple) 

এরই মধ্যে মন্দির প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দ্রুত মন্দির এলাকায় অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানো হবে। ইতিমধ্যে ড্রোন বিরোধী নজরদারি জোরদার করা হয়েছে(Puri JagannathTemple) 

ভক্তদের একাংশের মতে, এই ঘটনা শুধুই একটি ভিডিও ফাঁস নয়, বরং হাজার বছরের প্রথা ও ধর্মীয় গাম্ভীর্যের ওপর আঘাত। তারা চাইছেন দোষীদের দ্রুত খুঁজে বার করে শাস্তি দেওয়া হোক।(Puri JagannathTemple) 

সবমিলিয়ে, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল(Puri JagannathTemple) হওয়া একটি ভিডিও যেন তছনছ করে দিয়েছে এক ঐতিহ্যবাহী ধর্মস্থানের শান্ত পরিবেশ। তদন্ত চলছে, কিন্তু এ ঘটনা ধর্মীয় ভাবাবেগ, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তির অপব্যবহারের প্রশ্ন একসাথে সামনে এনে দিয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, তদন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং কতটা গভীরে এই ষড়যন্ত্রের শিকড় ছড়িয়েছে।