লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপে জ্বলছে বাংলা রাজনীতি। একদিকে চলছে প্রচার, অন্যদিকে তীব্র বাকযুদ্ধ। রবিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “রিগিং না করলে মমতার জামানত জব্দ হবে।” এর পরেই সেই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ (Kalyan Bandyopadhyay) বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “অমিত শাহই আসল রিগিং মাস্টার।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বাংলায় এসে বড় (Kalyan Bandyopadhyay) বড় কথা বলে চলে যান অমিত শাহ। কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্যে, গুজরাটে কী হয়েছে, মানুষ ভুলে যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন জনপ্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন ভাষা প্রয়োগ শুধু অসম্মানজনক নয়, অপমানজনকও। বাংলার মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।”(Kalyan Bandyopadhyay)
তৃণমূল নেতার দাবি, “বিজেপির কাছে আজ আর কোনো ইতিবাচক ইস্যু নেই। তাই এখন কেবল হুমকি, অপমান আর চিৎকার করে ভোটে জেতার চেষ্টা চলছে। অমিত শাহ জানেন,(Kalyan Bandyopadhyay) বাংলায় বিজেপি হেরে যাচ্ছে। তাই আগেভাগেই মিথ্যা অভিযোগ (Kalyan Bandyopadhyay) তুলে সুরক্ষার চেষ্টা করছেন।” তিনি আরও বলেন, “বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোখে হারায়। যিনি তিন-তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁকে আপনি ‘জামানত জব্দ’ হবে বলছেন? এ আপনার অহংকার, আর সেই অহংকারই আপনাদের পতনের কারণ হবে।”(Kalyan Bandyopadhyay)
এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রিগিং’ শব্দটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিজেপির দিকেই নির্দেশ করেন। তাঁর প্রশ্ন, “২০১৯-এ বাংলার কিছু কেন্দ্রে আচমকা যে ফলাফল বদলে গেল, সেগুলো কি স্বাভাবিক ছিল? আমাদের কাছে স্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে যে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে কীভাবে বিজেপি সুবিধা পেয়েছে।”(Kalyan Bandyopadhyay)
তিনি আরও বলেন, “বাংলার মানুষ ভোট দেয় মমতা (Kalyan Bandyopadhyay) বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে। গত এক দশকে বাংলায় রাস্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প সব ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই উন্নয়নের বিরুদ্ধে বিজেপির কোনো উত্তর নেই। তাই তারা এখন মিথ্যে গল্প বানিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”(Kalyan Bandyopadhyay)
এদিকে তৃণমূলের এই পাল্টা আক্রমণের পর রাজনৈতিক মহলে(Kalyan Bandyopadhyay) আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, মমতাকে ‘রিগিং’ নিয়ে আক্রমণ করে অমিত শাহ হয়তো তৃণমূলের ঘর গুছিয়ে দিয়েছেন। কারণ তৃণমূল যে এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক প্রচারে নামবে, তা আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। কল্যাণের বক্তব্য সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে(Kalyan Bandyopadhyay)
শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। বারবার প্রমাণ হয়েছে, বাংলার মানুষ বাইরে থেকে আগত নেতাদের গ্রহণ করে না। যারা বাংলা নিয়ে কিছুই জানে না, তারাই এসে মিথ্যে কথা বলে চলে যায়। কিন্তু বাংলার মানুষ চুপ করে বসে থাকে না। ভোটেই সব জবাব দেবে।(Kalyan Bandyopadhyay)
বর্তমানে বাংলায় ভোট প্রচারের ময়দান (Kalyan Bandyopadhyay) একেবারে উত্তাল। অমিত শাহের মন্তব্য এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা আক্রমণে যে রাজনীতির উত্তাপ আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।